উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
করোনার জেরে টানা তিন মাসের বেশি সময় লকডাউন ছিল। এর জেরে কার্যত অনেকটাই দূষণমুক্ত হয় তিস্তা নদী। দূষণ কমতেই নদীর জলে বোরোলি, পুঁটি, ট্যাংরা, রুই প্রভৃতি নদীয়ালি মাছের পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেই মাছ ধরার লোভে নদীর জলে বিষ প্রয়োগ করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল শহরে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় তিস্তার জলে ঝাঁকে ঝাঁকে বোরোলি, পুঁটি সহ বিভিন্ন নদীয়ালি মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বেশি মাছ ধরার লোভে নদীর জলে বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছে। তার জেরেই ঝাঁকে ঝাঁকে নদীয়ালি মাছের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিস্তার জলে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরার একটা রেওয়াজ রয়েছে। এনিয়ে সরব হয়েছে শহরের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, এর জেরে পরিবেশের জীব বৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির কনভেনর সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন সময় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার ঘটনা ঘটে। তিস্তা উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। কিছু অসাধু মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে শুধু মাছের ক্ষতি হবে তা নয়, নদীর বাস্তুতন্ত্রেও প্রভাব পড়বে। এর আগে করোলার জলে বিষ মিশিয়ে মাছের মড়ক লাগানো হয়েছিল। প্রশাসন এবং মৎস্যদপ্তরের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ করা। রাতের অন্ধকারে মূলত, এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটে। জলপাইগুড়ির একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। এই বিষ দেওয়ার ফলে নদীতে বসবাসকারী অনেক জীবজন্তুর ক্ষতি হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি মৎস্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এমন ঘটনা রুখতে আমরা বিভিন্ন সময় অভিযানও চালাই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক রঞ্জন দাস বলেন, এধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, নদীর জলে বিষ প্রয়োগ করা হলে তা বিপজ্জনক। এই জলের উপর আমরাও নির্ভরশীল। প্রতীকী চিত্র