উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বুধবার শিলিগুড়ি থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (ইস্ট) জয় টুডু। তিনি বলেন, ব্রাউন সুগার পাচার চক্রের অনেক বড় সাফল্য আমরা পেয়েছি। পুজোর মধ্যে বিশেষ অভিযানে ওই সাফল্য আসে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আমরা আরও একজনের নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চলছে। আমাদের অনুমান, ওই ব্যক্তি পাচারের অন্যতম পাণ্ডা। গত রবিবার সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে জলপাইমোড় এলাকায় সকাল থেকে ঘাঁটি গাড়ে শিলিগুড়ি থানার পুলিস। সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুসারে বিকেলে নির্দিষ্ট নম্বরের ওই গাড়িটি এলে পুলিস কর্মীরা দাঁড় করান। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ ধরে গাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর একটি রসুনের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। সেই প্যাকেটের ওজন ছিল দু’কেজি। তাতেই লুকনো ছিল ব্রাউন সুগারের প্যাকেট। এরপরই অভিযুক্ত পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের নাম মহম্মদ নুর আলম, মহম্মদ সৈইম ও খৈরুল নেসা। তৃতীয়জন মহিলা। প্রথমজন এবং তৃতীয়জন শিলিগুড়ি পুরসভার বাসিন্দা। দ্বিতীয়জন মাটিগাড়ার বাসিন্দা। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ধৃতদের মধ্যে ওই মহিলা অন্যতম। সম্ভবত তার মাধ্যমেই মাদক পাচারে শামিল হয় বাকি দু’জন। তবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ক’মাসে শিলিগুড়িতে পুলিসি অভিযানে একাধিকবার ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। মূলত মালদহ থেকে শিলিগুড়িতে ওসব নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন মাস থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত এখনও ব্রাউন সুগার পাচারের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক কেজি মাদক। পুজোর আগে মাটিগাড়া থানার পৃথক তিনটি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৪ কেজি ২০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। জুন মাসের শেষের দিকে এসএসবি’র অভিযানে ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র