উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
করোনা আবহের কারণে এবারে মহালক্ষ্মী পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে ভক্তদের জন্য কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। এবার ভক্তরা অন্নভোগ দিতে পারবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দিতে হবে। এখানে মহালক্ষ্মীর বাহন হাতি। মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ইন্দ্রের পুজোও করা হয়। একদিকে ধনদাত্রী, তাঁর পাশেই শক্তির আরাধনা স্বরূপ ইন্দ্রের পুজোর প্রচলন রয়েছে। প্রতিবছরই মদনমোহন মন্দিরের পাশে কাঠামিয়া মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করে এই পুজো হয়। এখানে মহালক্ষ্মীর পুজো হয় শাক্ত মতে। পুজোয় বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে।
কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, রাজপরিবারের মহালক্ষ্মীর পুজো বহু প্রাচীন। বংশপরম্পরায় একই পরিবারের চিত্রকর এখানে প্রতিমা তৈরি করেন। পুজোর দিন জোড়া পায়রা বলি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দিতে হবে।
কোচবিহার রাজপরিবারের এই মহালক্ষ্মী পুজোকে ঘিরে এখনও এখানকার মানুষের যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। মদনমোহন মন্দিরের মহালক্ষ্মীর চারটি হাত। লক্ষ্মীর বাহন রূপে সর্বত্র পেঁচা থাকলেও এখানে হাতিকে মহালক্ষ্মীর বাহন হিসেবে দেখা যায়। একইভাবে ইন্দ্রের বাহনও হাতি। কাঠামিয়া মন্দিরে প্রভাত চিত্রকর দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিমা বানিয়ে আসছেন।
শুক্রবার লক্ষ্মী পুজোর দিন সন্ধ্যা ৬টায় মদনমোহন মন্দিরের পাশে অবস্থিত কাঠামিয়া মন্দিরে মহালক্ষ্মীর পুজো শুরু হবে। সাধারণত পুজো উপলক্ষে বহু মানুষ মদনমোহন বাড়িতে আসেন। অন্নভোগ মহালক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। বলি দেওয়া জোড়া পায়রা অন্নভোগের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। আগে এই পুজোয় পাঁঠা বলির রেওয়াজ ছিল। তবে এখন আর তা হয় না। পুজোর পরের দিন প্রথমে ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর প্রতিমা মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকে বৈরাগী দিঘিতে বিসর্জন দেওয়া হয়।
করোনার কারণে এবার নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ভক্তরা পুজো দেবেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে সেই ফুল ও অন্যান্য সামগ্রী মায়ের সামনে পৌঁছে দেওয়া হবে। মন্দিরের সামনে রং দিয়ে বৃত্তাকার করা হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়েই ভক্তদের পুজো দেওয়া ও প্রতিমা দর্শন করতে হবে। ফাইল চিত্র