উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
পুজোর ভিড়ে করোনা সংক্রমণের হার কতটা বাড়ল তা জানতেই অ্যান্টিজেন, ট্রুন্যাট মেশিন ও আরটিপিসিআরে জেলায় করোনা টেস্টের এই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলায় রোজ আরটিপিসিআরে টেস্ট করার টার্গেট ধরা হয়েছে ৬০০। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০০। ট্রুন্যাটের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ট্রুন্যাটে টেস্ট হবে প্রয়োজনমতো।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে জেলার চার জায়গায়। এগুলি হল—৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্তের জয়গাঁর জিএসটি মোড়ে, কুমারগ্রামে ৩১সি জাতীয় সড়কে বারোবিশার টোল প্লাজার কাছে, আলিপুরদুয়ার জেলা শহর সংলগ্ন রাজ্য সড়কে বীরপাড়া চৌপথি ও ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়া মোড়ে একটি হোটেলের সামনে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, এবার পুজোয় ততটা ভিড় হয়নি। কিন্তু বিশেষ সূত্র মারফৎ আমরা খবর পেয়েছি ভিড় না হলেও পুজো মণ্ডপে ও রাস্তায় ঘোরাঘুরির সময় অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। অনেকেই সামাজিক দূরত্ববিধি মানেননি। তাই আমরা সংক্রমণের ঢেউ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছি। সেই আশঙ্কা কতটা সত্যি তা জানতেই জেলাজুড়ে করোনা টেস্টের বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুসারে ২৫ অক্টোবর মহানবমী পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা ৬২৫১ ছুঁয়েছে। তারমধ্যে অবশ্য চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫৭৪৭ জন। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৪২৯ জনের চিকিৎসা চলছে। নবমী পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, তারপরেও পুজোয় সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনওরকম হুঁশ ছিল না বললেই চলে। ভিড় না হলেও পুজোয় অনেকেই মুখে মাস্ক না পরে দিব্যি দল বেঁধে ঘোরাঘুরি করেছেন। মণ্ডপের সামনে দূরত্ববিধিও মানেননি অনেকেই। পুজোয় মণ্ডপে ঘোরাঘুরির সময় অদৃশ্য সংক্রমণ এড়াতে অনেক মানুষই নিজের সুরক্ষা নিজে নিতে পারেননি। যা নজর এড়ায়নি স্বাস্থ্যদপ্তরের বিশেষ টিম ও পুলিসেরও। পুজোর জন্য জেলায় সংক্রমণের হার কতটা ঊর্ধ্বমুখী হল আগামী একসপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যদপ্তরের এই বিশেষ টেস্ট অভিযানের পরেই সেটা বোঝা যাবে।