বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শহরে মিটিং, মিছিল, উৎসব অনুষ্ঠান করলে ভিভিআইপি’দের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যায়। এমন কর্মসূচিতে জনমানসে বিরূপ প্রভাব পড়ে। একথা আঁচ করেই এবার উৎসব স্থল শহরের বাইরে, কিন্তু শহর ঘেঁষা এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যদিও মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, গত আট বছর ধরে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হলেও কোনও সংবিধানে লেখা নেই যে সেখানেই অনুষ্ঠান করতে হবে। গ্রাম আমাদের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছে। তাই এবার গ্রাম থেকেই উৎসবের সূচনা হবে।
উত্তরবঙ্গ উৎসব নিয়ে শনিবার শিলিগুড়ির মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। সেখানে পুলিস, প্রাশসন, স্কুল শিক্ষক সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ২০ জানুয়ারি বেলা ৩টেয় শিবমন্দিরের আঠারোখাই স্কুল মাঠে নবম উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিনই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের ন’জনকে বঙ্গরত্ন সম্মান দেবেন। প্রত্যেক জেলার ১০ জন কৃতী পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে ফাঁসিদেওয়া মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা স্কুল মাঠে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই উৎসবের জন্য আঠারোখাই স্কুল মাঠ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবিবাবু কোচবিহার থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত আমি জানতাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব হবে। পরবর্তীতে জায়গার কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না জানা নেই।
সম্প্রতি এনআরসি, সিএএ’র বিরোধিতায় শিলিগুড়ি শহরে মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করেন। তাতে সকাল থেকে দিনভর শহরের প্রাণকেন্দ্র হিলকার্ট রোড স্তব্ধ হয়ে থাকে। এর প্রভাব শহর ছাড়িতে শহরতলিতেও পড়ে। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ চাপা থাকেনি। দুর্ভোগ নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভের কথা পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে শোনা যেতে থাকে।
তৃণমূল ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরবাসীর সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা পৌঁছে যায় টিম পিকের কাছে। ভোটের মুখে যাতে পার্টির ইমেজে কোনও প্রভাব না পড়ে তার জন্য তাদেরই পরামর্শে এবার শহরের বাইরে অনুষ্ঠানস্থল বাছা হয়েছে। সামনেই শিলিগুড়ি পুরভোট রয়েছে। প্রথমে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এই উৎসব করার কথা ছিল। পরবর্তীতে মাল্লাগুড়ির পুলিস কমিশনারেটের মাঠের কথা ভাবা হয়। কিন্তু শেষমেশ অনুষ্ঠানের জন্য শহরের বাইরে শিবমন্দিরকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তবে বসে আঁকো প্রতিযোগিতাটি ২৩ তারিখ বেলা ১টায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামেই হবে। এবারই প্রথম সেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা জোন থাকবে। ২৬ তারিখ হাফ-ম্যারাথন হবে। কাওয়াখালির বিশ্ববাংলা শিল্পীহাট, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-ভানু মঞ্চে দু’দিন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। শিলিগুড়ির অনুষ্ঠান শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য শহরে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ তারিখ শিলিগুড়িতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনই অন্যান্য শহরেও উৎসব শুরু হবে।