বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওয়ার্ড ভিত্তিক গলি ও পাড়ায় পাড়ায় সাফাই নিয়ে তেমন তৎপরতা নেই। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরে সাফাই প্রক্রিয়া ঠিকঠাকই চলছে। বাসিন্দারা বলেন, শহর জুড়ে সাফাই ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠান চলাকালীন কার্যত সাফাই কর্মীদের দেখা মেলেনি। তখনকার ময়লা আবর্জনা এখনও বিভিন্ন গলিতে জমা হয়ে আছে। পুরসভার দেড়শ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান শেষে প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এখনও সাফাই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সুজিত দাস বলেন, পুর কর্তৃপক্ষ সার্ধশতবর্ষ অনুষ্ঠান শেষে শহরে সাফাই নিয়ে জোর উদ্যোগ নিলে শহরের সৌন্দর্য বজায় থাকত। বিভিন্ন এলাকায় কার্নিভালের সময়কার ময়লা এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। শহরের ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকলে সমস্যা মিটত। কিন্তু ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরিতে পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন বাম চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ শুকুল বলেন, উৎসব শেষ হয়ে গেল কিন্তু এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি আবর্জনা জমে রয়েছে। শহর জুড়ে সাফাইয়ের কাজ ঠিক নেই। এটা পুরসভাকে দেখতে হবে। সঠিক নজরদারি না থাকার কারণে আবর্জনা জমে থাকছে। পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহ-সভাপতি শিল্পী ঘোষ বলেন, শহরে নিয়মিত সাফাই কাজ চলে। কোথাও কোনও আবর্জনা জমলে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। কোথাও কার্নিভালের আবর্জনা জমা নেই। অনুষ্ঠানের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় সাফাই নিয়মিত চলছে।
পুরসভার কাউন্সিলার তথা উৎসব কমিটির কনভেনর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌমেন সরকার বলেন, কার্নিভাল যেখানে হয়েছে সেখানে পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডে কী পরিস্থিতি তা বলতে পারব না। আমার ওয়ার্ডে নিয়মিত সাফাই চলছে। কোথাও কোনও আবর্জনা জমে নেই।
পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে কার্নিভাল শেষে সাফাইয়ের কাজ থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ। উৎসব শেষ হয়ে গেলেও কার্নিভালের আবর্জনা জমে রয়েছে। বেশকিছু এলাকায় সাফাই কর্মীরা আবর্জনা সাফাই করতে আসছে না। কিছুকিছু এলাকায় নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শহরের গলি রাস্তাগুলিতে যত্রতত্র আবর্জনা জমে থাকায় নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়ছে। কিছু ক্ষেত্রে কুকুর, গোরুর আবর্জনা ছড়িয়ে দেওয়ায় এবং আবর্জনা নিকাশি নালায় পড়ায় সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার ১ থেকে ৯ এবং ১৪, ১৫, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনা জমে রয়েছে। এতে আবর্জনা থেকে মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে। সার্ধশতবর্ষ ঘিরে কার্নিভালে শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত মেন রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও সেই আবর্জনা পাশের গলিতে ফেলা রাখা হয়েছে। এতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। শহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক নিয়মিত সাফাইয়ের দাবি উঠেছে।