বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্কুল সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা রবি প্রামাণিক ও ধীরেন ঘোষরা বলেন, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার এই স্কুলে আমাদের গ্রামের সমস্ত ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে। প্রতিবছরই স্কুলে খুব ভালো রেজাল্ট হয়। সকলের স্কুলের প্রতি ভালোবাসা ও ভরসা রয়েছে। তবে ছাদের ভগ্নদশা অনেক দিন ধরেই রয়েছে। দ্বিতল নিয়ে ভয় বেশি রয়েছে। ওটা ভেঙে পড়লে একতলারও ক্ষতি হবে। নীচের তলার ঘরগুলিতেও ফাটল ধরেছে। এটি বহু পুরনো স্কুল। এনিয়ে আমরা বেশ চিন্তায় থাকি। ক্লাস রুমের পাশাপাশি ওই বিল্ডিংয়ের বারান্দার অবস্থাও ভালো নেই। নতুন করে তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান জগদীশ সরকার বলেন, স্কুলের বেশকিছু শ্রেণীকক্ষের অবস্থা ভালো নেই। এনিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এজন্য বেশি চাঙড় খসা ও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণীকক্ষ এখন ব্যবহার করছি না। পড়ুয়াদেরও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। আমরা বিল্ডিংয়ের এই অবস্থার কথা চিঠি দিয়ে ব্লক প্রশাসন, জেলা পরিষদে জানিয়েছি। মালদহ জেলা শিক্ষা দপ্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসানুল করিম বলেন, আমি সম্প্রতি ওই স্কুলে গিয়েছিলাম। স্কুলটির সুনাম রয়েছে। বিল্ডিংয়ের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে নিশ্চয় ব্যবস্থা একটা হবেই। আশা করি কাজের জন্য শীঘ্রই ফান্ড মিলবে।
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ১৯৪৮ সালে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এখন পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ১৬০০। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে স্কুলের একাধিক শ্রেণীকক্ষের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এনিয়ে স্কুল চলাকালীন সকলেই উদ্বেগে থাকেন। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে।