উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট লেগে থাকায় পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহরের গলি রাস্তাগুলিতেও যান চলাচল বেড়েছে। যানজট এড়িয়ে যেতে অনেকেই সেসব গলিতে গাড়ি, টোটো ও বাইক ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। তাতে সেই সংকীর্ণ রাস্তাগুলিতেও গাড়ির চাপ বেড়ে যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে যানজটে আটকে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। বাইপাসের কাজ মাঝেমধ্যেই থমকে যাওয়ায় দুই শহরের বাসিন্দাদেরও মাঝে মাঝেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। গলি ও পাড়ার রাস্তাগুলোতে চাপ থাকছে। এতো যানবাহনের চাপ নেওয়ার মতো করে তো কার সেসব রাস্তা তৈরি করা হয়নি। তাই সেসব রাস্তা ও নর্দমার পাড় ভেঙে যাচ্ছে। ওই গলি রাস্তাগুলিও মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠায় এলাকাবাসীরা দ্রুত যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য এলাবাসীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
দুই শহরের নাগরিকরা বলেন, যানজটের কারণে শহরের গলিগুলিতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কেননা অনেকেই জাতীয় সড়কের যানজট থেকে রেহাই পেতে গলিপথ দিয়ে বেরিয়ে যেতে চান। সে সময় গলিগুলিতেও যানজট বেড়ে যায়। সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ার ফলে সেখানে বড় বড় গাড়ি ঢুকে একবার আটকে গেলে খুবই সমস্যা হয়। পথচারীরা রাস্তা ব্যবহার করতেই পারেন না।
এবিষয়ে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, বাইপাসের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে না মেটার ফলে এধরনের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে বড় রাস্তার যানজট থেকে রেহাই পেতে গলিপথে ঢুকে যাচ্ছেন। আমরা চাইছি দ্রুত বাইপাস সম্পূর্ণরূপে খুলে যাক। তাতে সকলের সুবিধা হবে। এবিষয়ে আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। না হলে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করাহবে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, তীব্র যানজট তৈরি হলে শহরের গলিতেও যানজট হয়। বাইপাস সম্পূর্ণরূপে খুলে গেলে সমস্যা মিটে যাবে। নাগরিকদের সমস্যা মেটাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির মালদহ ডিভিশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশকুমার আনসারিয়া বলেন, শহরে যানজট কমাতে রবিবার দুপুরের পর বাইপাস খুলে যাবে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। সেসব পরে করা হবে। আমরা আশাবাদী, তাতে শহরের বুক থেকে যানজটের চাপ অনেকটাই কমবে।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সম্পূর্ণ রূপে গড়ে ওঠেনি। যে কারণে দুই শহরের রাস্তার উপর যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের কোর্ট স্টেশন রোড, নলডুবি রোড, মঙ্গলবাড়ির বুলবুলি মোড় থেকে মির্জাপুর রোড, সদর ঘাট রোডে ছোট-বড় যানবাহনের চাপ বেড়েছে । তাতে সাধারণ বাসিন্দারা নাকাল হচ্ছেন। আবার ইংলিশবাজার শহরের সুকান্ত মোড় থেকে রথবাড়ি মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়কের পাশের গলিগুলিতেও ঢুকে পড়ছে বড় বড় গাড়ি। রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে ভারী যান চলাচল হওয়ায় রাস্তা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সেই ভাঙা রাস্তায় আবার দুর্ঘটনা ঘটছে। ওইসব রাস্তার পাশে থাকা নিকাশি নালাগুলিও ভেঙে গিয়েছে। তাতে নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বাইপাস সম্পূর্ণরূপে খুলে গেলে শহরের যানজট কমবে। তাতে দুই শহরের গলি ও সরু রাস্তাগুলিতে যানবাহনের চাপ কমে যাবে।