পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তরফে জানানো হল, এখনও পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা হয়েছে। তাতে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রেস উইংয়ের তরফে দাবি করা হল, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ উঠেছে। সেই হামলার ৯৮ শতাংশেরও বেশি হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। ধর্মীয় কারণে নয়। ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত হামলার ঘটনার তদন্তে পুলিস এমনই তথ্য পেয়েছে। প্রেস উইংয়ের তরফে এক বিবৃতিতে এদিন দাবি করা হয়েছে, দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিসকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঢাকার উপর চাপ বাড়ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একাধিক দেশের রাজনীতিকরা এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চাপের মুখেই সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হল বলে মনে করছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, ৪ আগস্টের পর দেশে সংখ্যালঘুদের উপর মোট ১ হাজার ৭৬৯ টি সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিস ওই অভিযোগের তালিকা তৈরি করেছে। এখনও পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, অভিযোগগুলির মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনাই রাজনৈতিক। মাত্র ২০টি ঘটনা ধর্মীয় কারণে হয়েছে। ১৬১টি অভিযোগকে সরাসরি ভিত্তিহীন বা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে পুলিস। প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরিষদের তথ্যের বাইরে ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৪টি সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগ পেয়েছে পুলিস। সেগুলির ভিত্তিতে ৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে ও ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো একাধিক দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। ‘অখণ্ড ভারত সম্মেলন’ নামে ওই অনুষ্ঠানে আসার সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত রাজনৈতিক সম্পর্কের জেরেই ঢাকার এই সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা ভবিষ্যতে দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে আমরা যাচ্ছি না। কারণ সরকারি খরচে অনাবশ্যক বিদেশভ্রমণে আমাদের এখন কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’