শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
জোনাথনকে সিসিলি থেকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে ডেভিড, এমা এবং ফ্রেডের সঙ্গে গভর্নর বাসভবনই জোনাথনের স্থায়ী ঠিকানা। তিন সঙ্গী কচ্ছপই তার থেকে বয়সে ছোট। সেন্ট হেলেনায় জীবনের ১৪০টা বছর কাটিয়ে দিয়েছে জোনাথন। গত ১৯০ বছরে গোটা বিশ্ব প্রায় আমূল বদলে গিয়েছে। কিন্তু জোনাথন রয়ে গিয়েছে একইরকম। খাওয়া আর ঘুম। মাঝেমধ্যে দুই স্ত্রী এমা আর ফ্রেডের সঙ্গে খুনসুটি।
গিনেস বুক অনুযায়ী, দৈত্যাকার কচ্ছপের তালিকায় তু’ই মালিলার রেকর্ড ভেঙেছে জোনাথন। ১৭৭৭ সালে টোঙ্গার রাজ পরিবারকে উপহার হিসেবে তু’ই মালিলাকে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুক। ১৯৬৫ সালে মারা যায় সেই কচ্ছপ। বয়স ছিল ১৮৮ বছর। জোনাথন সেই রেকর্ড ভেঙে পৃথিবীতে ১৯০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।
সেন্ট হেলেনা সরকার বলছে, জোনাথন শীতের মরশুমকে বেশ উপভোগ করছে। এখন সে সপ্তাহে মাত্র একদিনই খাওয়া-দাওয়া করে। তাও যদি খাইয়ে দেওয়া হয় তবেই। কারণ বয়সের ভারে জোনাথন আর চোখে দেখতে পায় না। ঘ্রাণশক্তিও প্রায় সম্পূর্ণ চলে গিয়েছে বলা চলে। তাই মাঠে খাবার ফেলে রাখলে জোনাথন তা খেতে পারে না। তার পরিচর্চায় নিয়োজিত জো হলিনসই খাইয়ে দেন তাকে। তবে এখনও মানুষের কোলাহল পছন্দ করে জোনাথন। হলিনসের কণ্ঠস্বর শুনে চনমনে হয়ে ওঠে।
সেন্ট হেলেনার গভর্নর হাউসে গেলেই দেখা মেলে বৃদ্ধ জোনাথনের। বাঁধাকপি, শশা, গাজর, আপেল, কলা আর লেটুস শাক তার পছন্দের খাবার। চোখে দেখতে না পেলেও শুধুমাত্র শ্রবণশক্তির জোরেই গভর্নর হাউসের সবুজ ঘাসে ঘেরা বিশাল চত্বরে দিনভর চলাফেরা জোনাথন। ১৯০ বছরের এই বিস্ময়কে ইতিমধ্যেই নেটিজেনরা শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। সকলেই বলছেন, আরও দীর্ঘজীবী হও জোনাথন, দ্য বার্থডে বয়।