শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-ব্রিটেন যৌথ বাণিজ্যকে দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সেইমতো গত বছরের মে মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে রূপরেখা তৈরি হয়। তারপরে এদিন ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিদেশ সচিব অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানকে নিয়ে সেই বাণিজ্য চুক্তির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পীযূষ গোয়েল। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত শর্তাবলি আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তার সূচনা করা হল। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। প্রযুক্তি, পর্যটন, শিক্ষা, স্টার্ট আপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নয়া মাত্রা পাবে।
পীযূষ গোয়েল আরও বলেন, পারস্পরিক ক্ষেত্রে উপকৃত হওয়া এবং যেখানে কম মতানৈক্য রয়েছে, প্রাথমিকভাবে সেই সমস্ত ক্ষেত্রেই দুই দেশ জোর দেবে। আর সেজন্য আগামী কয়েক মাসের একটা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনও বলেন, স্কচ-হুইস্কি নির্মাতা থেকে আর্থিক পরিষেবা এবং অত্যাধুনিক পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রযুক্তি — ব্রিটেন তার বিশ্বমানের ব্যবসা এবং দক্ষতা নিয়ে গর্বিত।
এদিকে, ভারতকে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ব্রিটেনে জল্পনা ছড়িয়েছে। সেজন্য বিরোধীরা জনসনকে একহাত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী রনীল জয়বর্ধনে বলেছেন, দেশেব স্বার্থেই আমরা চুক্তিতে রাজি হয়েছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমরা গত ৫০ বছরে এই প্রথম পয়েন্ট নির্ভর ভিসা চালু করেছি। অর্থাৎ, সব দেশকে সমান চোখে দেখা হবে। আর ট্রেভেলিয়ান বলেন, ভারতের যেহেতু দ্রুত আর্থিক বিকাশ হচ্ছে, তাই ব্রিটেনের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই চুক্তি একটা সুবর্ণ সুযোগ। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
অন্যদিকে, ব্রিটেন-ভারত এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে সেদেশের বণিকসভা কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিজ। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বলেন, ভারত যেহেতু দ্রুত বিশ্ব অর্থনীতিতে সুপারপাওয়ার হয়ে উঠছে, তাই এই চুক্তি দু’দেশের লগ্নি ও বাণিজ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।