কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এই নয়া নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে চলেছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ থেকে আসা নাগরিকদের কোনও ছাড় দিতে চায় না বরিস সরকার।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র আমলে ন্যূনতম বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য ৩০ হাজার পাউন্ড এবং অনভিজ্ঞ ও সবে পড়াশুনো শেষ করা কর্মীদের জন্য ২০ হাজার ৮০০ পাউন্ড আয় ধার্য হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার মনে করছে, সেই নিয়মের ফলে ব্রিটেন বহু যোগ্য প্রার্থীকে হারিয়েছে। বেতন ও পেশার মধ্যে বৈষম্যের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানে, আগামী বছর নতুন অভিবাসন আইনে ন্যূনতম আয়ের অঙ্ক কমানোর পথে হাঁটতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে, বরিস জনসন এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউরোস্ক্যাপটিক এমপি এবং প্রাক্তন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ইয়ান ডানকান স্মিথ। তাঁর মতে, অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বরিস। কিন্তু, তিনি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন, তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ইয়ান বলেন, ৩০ হাজার পাউন্ডের যে সীমা রয়েছে, তা কমানোর আগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মাইগ্রেশন ওয়াচ ইউকে নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে, পয়েন্ট ভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হলে ব্রিটেনে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে পারে। এদিকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে নয়া রূপরেখা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমানো হবে। পাশাপাশি বরিসের মুখপাত্র জানিয়েছে, মন্ত্রীর উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সকলেই এখন জেনে গিয়েছে যে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা বন্ধ হতে চলেছে। আমাদের সীমান্ত এখন আমরাই নিয়ন্ত্রণ করব।
প্রসঙ্গত, দ্য মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি কমিটি নামে একটি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আগামী সপ্তাহে পয়েন্ট ভিত্তিক ব্যবস্থার উপর রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে। আগামী মার্চ মাসে সরকার তা প্রকাশ করতে পারে বলে খবর। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলেই যাতে নয়া ব্যবস্থা চালু করা যায়, সেব্যাপারে তত্পর বরিস সরকার।