পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
সুযোগ পেয়ে দিল্লি নির্বাচন প্রচারে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোনিয়াকে আক্রমণ করেন। বলেন, অহংকারী কংগ্রেসের শাহি পরিবার গরিব, দলিতদের অপমান করেছেন। যদিও মায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। বলেছেন, ‘আমার মার ৭৮ বছর বয়স। কাউকে অপমান তিনি করতে পারেন না। রাষ্ট্রপতিকে তো নয়ই। সংবাদ মাধ্যম অহেতুক বক্তব্যের অন্য মানে করছে। আর ক্ষমা? দেশকে যে দুদর্শার খাদে নিয়ে গেছে বিজেপি, তার জন্য আগে ক্ষমা চাক।’
বাজেট অধিবেশন শুরু হয় সংসদের উভয়কক্ষে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের মাধ্যমে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে ৫৯ মিনিট বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তৃতীয় মোদি সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। গত ১০ বছরে সরকার কী করেছে, তা উল্লেখ করেন। যদিও সেই বক্তৃতায় নতুন কোনও দিশা নেই বলেই সম্মিলিত বিরোধীদের মত। ‘দিশাহীন, চর্বিত চর্বন’ বলেই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরই শোনা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর মুখে। তাঁর মতে, রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা একঘেয়ে। আর সেটি শুনেই সোনিয়ার উল্লেখিত অভিব্যক্তি। যা নিয়ে দিনভর চলল চর্চা।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার সমালোচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রপতির যা বক্তৃতা শুনলাম, তাতে তো মনে হয় উনি অন্য দেশে থাকেন, আমরা অন্য দেশে। সাজানো কথা। কেন নেই কোনও দিশা? সরকারের গুনগান ছাড়া বক্তৃতায় কী আছে? বাস্তব কোথায়? প্রশ্ন কংগ্রেসের। একইভাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সওয়াল, রাষ্ট্রপতির ৩১ পয়েন্ট বক্তৃতায় কেন গায়েব মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুর, মহিলাদের ওপর অত্যাচার, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নারেগা, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, স্মার্ট সিটি, আর্থিক বৈষম্য, কৃষকের দ্বিগুণ উপার্জন, অপুষ্টির মতো ১০ টি বিষয়? ফলে এই বক্তৃতার সারমর্ম জুমলা ছাড়া কিছুই নয় বলেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর আলোচনায় উল্লেখিত ইস্যু তুলে ধরে আক্রমণে তৈরিও হচ্ছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার।