কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছেন, ‘নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ছোটখাটো বিশৃঙ্খলাতেও সরকার পড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে এনডিএ-র অন্দরে টানাপোড়েন নরেন্দ্র মোদিকে বিপাকে ফেলবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘এবারের ভোটে ভারতের সংসদীয় রাজনীতি উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। একে পটপরিবর্তনও বলা যেতে পারে। যা আগামীতে মোদি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।’ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি দেশবাসী মেনে নেননি জানিয়ে রাহুল আরও বলেন, ‘ঘৃণা ছড়িয়ে, মানুষকে খেপিয়ে আপনি ফায়দা তুলতে পারবেন— এই ধারণাটাকেই এবারের ভোটে আমজনতা নস্যাৎ করে দিয়েছে।’
এদিন শুধু মোদি সরকারের স্থায়িত্ব নয়, এনডিএ’র অন্দরে চাপা অসন্তোষ নিয়েও এদিন মন্তব্য করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, মোদি ক্যাম্পে বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাহুল বলেন, ‘ওঁদের অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’ নির্দিষ্ট কারও নাম না করে তাঁর সংযোজন, ‘মূলত কোনও একজন জোট শরিক এনডিএ ছেড়ে অন্য রাস্তা ধরতে পারে।’
এর আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও একইধরনের মন্তব্য করেছিলেন। মমতা বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটই আগামী দিনে সরকার গড়বে। মোদি সরকার বেশিদিন টিকবে না। এককাঠি উপরে উঠে খাড়্গেও জানিয়েছিলেন, ভুল করে এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে। এটি একটি সংখ্যালঘু সরকার। যেকোনও মুহূর্তে এই সরকার পড়ে যেতে পারে। এবার সেই একই জল্পনা উস্কে দিলেন রাহুলও।