গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দুমকা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন শিবু সোরেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮১৫। হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুনীল সোরেনকে (২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৮৫)। কিন্তু, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সুনীল সোরেন এই হারের প্রতিশোধ নেন। পরাস্ত হন শিবু। সুনীলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৩। অপরদিকে, জেএমএম সুপ্রিমো পান ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৩৩টি ভোট। শতাংশের হিসেবে বিজেপি ও জেএমএম-এর ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৪৭.২৬ ও ৪২.৬৩। এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই দলবদলু সীতার সামনে চ্যালেঞ্জ।
ঝাড়খণ্ডের ১৪টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম দুমকা। এখানে নির্বাচন ১ জুন। এই আসনটি সংরক্ষিত তফসিলি উপজাতিদের জন্য। ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল-হুল বিদ্রোহের পর ভাগলপুর ও বীরভূম জেলা থেকে আলাদা করা হয় সাঁওতাল পরগণাকে। এখানকার সদর শহর করা হয় দুমকাকে। সোরেন পরিবারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতেই বাড়ির ‘বড় বউ’কে প্রার্থী করে কৌশলী চাল দিয়েছে বিজেপি। সীতা ছিলেন জেএমএম-এর সাধারণ সম্পাদক। দেওর গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ১৯ মার্চ শ্বশুরের দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে।
সীতার দলত্যাগ স্বভাবতই প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে জেএমএম-কে। স্বামী জেলে থাকায় এখন কার্যত দলের দেখভাল করছেন হেমন্তর স্ত্রী কল্পনা। মূলত, দলে ক্ষমতা দখল নিয়ে ছোটজা কল্পনার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই দল ছেড়েছেন সীতা। যদিও তাঁর কট্টর সমালোচকদের মতে, দুর্নীতির মামলার তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই সীতা বিজেপিতে ভিড়েছেন। ২০১২ সালে রাজ্যসভার নির্বাচনে টাকার বদলে ভোট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার জন্য তাঁকে সাতমাস জেল খাটতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এই বিষয়টিকেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করেছে জেএমএম। বিপদের সময় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার বিষয়টিও তাঁকে বিঁধছে কাঁটার মতো। তবে, এর প্রভাব ভোটারদের উপরে কতটা পড়ে, তা বোঝা যাবে ফল বেরনোর পরই।