দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
দেশের মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়ছে। গত ২৪ বছরে সর্বোচ্চ। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সামান্য তেল-নুন কিনতে হাত পুড়ছে দেশবাসীর। কিন্তু কেন্দ্র সরকার নির্বিকার। আর শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের চোখ আটকে মসজিদ বনাম মন্দির মামলায়। যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরাও। একের পর এক বিতর্ক উস্কে দিচ্ছে তারা—তাজমহল, কুতুবমিনার। এমনটাই অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে আসছে বিরোধী দলগুলি। এরইমধ্যে কৌশিক বসুর মতো বিশিষ্ট অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ উদ্বেগের বার্তা দিলেন।
এদিন এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৌশিকবাবু বলেন, ‘ভারতের কাছে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব। ২৪ শতাংশেরও বেশি পৌঁছে গিয়েছে বেকারত্বের হার। যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মোকাবিলা করতে হলে অবিলম্বে ছোট উৎপাদক সংস্থা ও কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। আর এই কাজ করতে হবে সরকারকেই।’ কিন্তু ঘটনা হল, এ ব্যাপারে সরকারের ভাবনাচিন্তা ও নীতি-নির্ধারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ, অর্থনীতির চূড়ান্ত অব্যবস্থা, নীতি পুঙ্গত্ব থেকে নজর ঘোরাতেই দেশবাসীকে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে আটকে রাখছে মোদি সরকার।
কৌশিকবাবুর মতে, ‘দেশের সার্বিক আর্থিক বিকাশ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নীতির উপর নির্ভর করে না। সর্ব সাধারণের আস্থা অর্জনও অর্থনৈতিক সাফল্যের অন্যতম নির্ধারক।’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘ভারতীয় সমাজে বিভাজন এবং মেরুকরণের উত্থান কেবল দুঃখজনকই নয়, জাতির উন্নয়নের ভিতকেও নষ্ট করে দেয়।’ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘আমরা গত ২৪ বছরে এত বেশি মুদ্রাস্ফীতি দেখিনি। এখন যা ঘটছে তা নব্বুইয়ের দশকের শেষের সময়কে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় গোটা পূর্ব এশিয়ার আর্থিক সঙ্কট ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছিল।’