কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের পর থেকেই ভূস্বর্গের নিরাপত্তা নিয়ে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছিল বাহিনীর। গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তাও ছিল বেশ স্পষ্ট—পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে। বিভিন্ন দলে ভাগ করে তাদের লঞ্চ প্যাডে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে ভারতে ঢুকে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই
পাক সেনার মদতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাহিনীর হাতে ধৃত আলিও জেরায় জানিয়েছে, কোথায় তাকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল, ক্যাম্পের দায়িত্বে কারা রয়েছে, কোন পথ ধরে ভারতে ঢুকতে হবে, ধরা পড়ে গেলেই বা কী করণীয়।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আলির বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা জেলায়। ছোটবেলায় তার বাবা মারা যায়। সংসারে তীব্র অনটন শুরু হয়। তারউপর বেশ কয়েক বছর ধরে আলির মা অসুস্থ। বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে আয়ের পথ ধরে। জেরায় আলি জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন যুবক তাকে ভুল বুঝিয়ে বিপথগামী করে তোলে। ট্রেনিং ক্যাম্পে আসার
আগে পর্যন্ত সে জানত না তাকে কী কাজ করতে হবে। প্রথমে আলিকে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গরহী হাবিবুল্লাহ ক্যাম্পে। এটাই লস্করের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শিবির। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ হয় অন্যত্র। সেখানে মূলত ‘মগজ ধোলাই’-এর কাজ চলে। একেবারে শেষে দেওয়া হয় নাশকতার ব্লু-প্রিন্ট মেনে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে, অত্যাধুনিক অস্ত্র কীভাবে চালাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটাই তদারকি করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এমনটাই জানিয়েছে আলি।
চলতি বছরের প্রথমে আলি সহ কয়েকজন জঙ্গিকে একাধিক দলে ভাগ করে লঞ্চ প্যাডে পাঠানো হয়। ভারতে ঢোকার নিরাপদ রুটও বলে দেওয়া হয় তাদের। আলির দলে ছিল ছ’জন। পাকিস্তানের সরকারি স্কুলের এক শিক্ষকও ছিল সেই দলে। তাদের উপর নির্দেশ ছিল উরি সেক্টর দিয়ে ঢুকে বারামুলায় যেতে। সেই মতো আলিদের সাওয়াই নালা জঙ্গি শিবির থেকে হালান সুমালি লঞ্চ প্যাডে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে যে পথ দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে উরি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল। সেই পথ দিয়েই তাদের ভারতে পাঠানোর ছক ছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। আলি সেনাবাহিনীকে জানিয়েছ, মায়ের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল।কাজ হাসিল করার পর আরও ৩০ হাজার টাকা দেবে বলে আশ্বস্ত করেছিল লস্কর।