কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৫৭৮ ফুট উচ্চতায় বিশ্বের সর্বোচ্চ এবং এশিয়ার দীর্ঘতম জোজি-লা সুড়ঙ্গে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে গাদকারির সোজাসাপটা সওয়াল, ‘২০২৪ সালে ভোটে জিততে হবে তো। তাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করলেই হবে না, কাশ্মীরে সরকারের কাজের বাজনা তো বাজাতেই হবে। তাই জোজি-লা সুরঙ্গ সম্পূর্ণ করার টার্গেট ২০২৬ হলেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ঠিকাদার সংস্থা মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে তা শেষ করতে বলেছি।’ ‘তবে হ্যাঁ, এর জন্য যেন কাজের মান খারাপ না হয়।’ জোজি-লা সুড়ঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন গাদকারি।
ঘোড়ার ক্ষুরাকৃতি ১৪.১৫ কিলোমিটার লম্বা জোজি-লা সুড়ঙ্গ যেমন বালতালের অংশের কাশ্মীরকে জুড়বে লাদাখের লে’র সঙ্গে, একইভাবে গগনগির থেকে সোনমার্গ সংযুক্ত হবে সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁক খাওয়া ‘জেড-মোড় টানেল।’ এই দুটি সুরঙ্গকে আবার জুড়বে নীলগড়ের দুই সুড়ঙ্গ। এর ফলে সারা বছর শ্রীনগর থেকে সোজা লে পৌঁছনো সহজ হবে। কারণ, সোনমার্গের রাস্তায় নভেম্বর থেকে পাঁচ মাস থাকে বরফে ঢাকা। সঙ্গে থাকে পাহাড় ভেঙে পড়ার ঝুঁকি। সবচেয়ে বড় কথা, বিকল্প রাস্তা বলতে চীন ও পাকিস্তান লাগোয়া সীমান্ত-পথ। সেটি ঘুরপথ, পৌঁছনো খরচবহুল বটে। তাই জোজি-লা সহ নির্মীয়মান চার সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে একদিকে যেমন স্বল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে লাদাখে, একইসঙ্গে দুর্গম পাহাড়ের সীমান্ত-পথ এড়িয়েই শত্রু মোকাবিলায় সীমান্তে সেজে উঠতে পারবে সেনাবাহিনী।
আর কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ? স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নীতিন গাদকারি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গিয়ে দেখেছি কীভাবে মানুষকে পাহাড়ে পর্যটনমুখী করা যায়। কাশ্মীর আর লাদাখ মিলিয়ে ৫২ কিলোমিটার রাস্তায় হবে ৩১টি টানেল। উপত্যকার রাস্তার দু’ধারে লাগানো হবে এলাকার বাহারি ফুলের গাছ। উপার্জন বাড়বে নার্সারির, হবে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমও। সুড়ঙ্গ সম্পূর্ণ হলে সারা বছর সোনমার্গে আসবে পর্যটক। চলবে হোটেল ব্যবসা। বদলে যাবে কাশ্মীরের ভাগ্য।’