কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তারই ভিত্তিতে ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার ইফতিকারউদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের সরকারি বাসভবনে বসে কয়েকজন ধর্মগুরুর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। ওই আইএএস অফিসারকে ধর্মগুরুদের উদ্দেশে বলতে শোনা যাচ্ছে, আপনাদের কাজ হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলাম প্রচার করা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ইফতিকারউদ্দিনকে একটি সমাবেশে এক ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে ভিডিওটি ইফতিকারউদ্দিন যখন কানপুরের ডিভিশনের কমিশনার ছিলেন তখনকার। তিনি নিজের সরকারি বাসভবনে ধর্মগুরুদের ডেকে ধর্মান্তরকরণ নিয়ে পাঠ দিতেন বলে অভিযোগ। যদিও ইফতিকারউদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সাংবাদমাধ্যম তাঁর সম্বন্ধে অপব্যাখ্যা করেছে। সম্প্রতি ‘মঠ মন্দির সমানভাই সমিতি’র ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ভূপেশ অবস্থী রাজ্য সরকারের কাছে ওই আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি বিতর্কিত ভিডিও’র কপিও জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কোনও সরকারি অফিসার পদে থাকাকালীন ধর্মপ্রচার করতে পারেন না। ওই আইএএস অফিসার তা করে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, ভিডিওটি সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন। প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। এদিকে কানপুরের পুলিস কমিশনার অসীম অরুণ অতিরিক্ত পুলিস কমিশনারকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে কোনও ধর্মকে এগিয়ে নেওয়া যায় না।