পাটনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): চালানো হল বুলডোজার। ভেঙে ফেলা হল প্রশান্ত কিশোরের বিহারের পৈত্রিক বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের আহিরৌলি গ্রামে। ৮৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। জানা গিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই তাঁর বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণের পরিবর্তন হওয়ার জেরেই এই ঘটনা বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও প্রশাসনের দাবি, সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। জাতীয় সড়ক চওড়া করার জন্য সড়কের দু’পাশের জমি খালি করার প্রক্রিয়াও দীর্ঘদিন থেকেই জারি রেখেছে এনএইচআইএ। প্রশান্ত কিশোরের বাড়ির কিছুটা অংশও তার মধ্যেই পড়ে যায়। ফলে অধিগৃতীত অংশটুকুই ভাঙা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রশান্তের বাড়ির মূল ফটক সহ বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা পড়েছে। তাঁর বাবা এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। যদিও বর্তমানে পিকে এই বাড়িতে থাকেন না। তবে বাড়ি ভাঙার এই ঘটনাকে পিকে ঘনিষ্ঠরা মোটেই সোজা ভাবে দেখছেন না। তাঁদের ধারণা, রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণের বাড়িটি ভাঙা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের দাবি, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। শুধুমাত্র রাস্তা চওড়া করার জন্যই ওই বাড়ির একাংশ ভাঙা পড়েছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি খোদ পিকেও।
প্রসঙ্গত, এক সময় নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ে-তে গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন প্রশান্ত। অভিনব রণকৌশলের জেরে সে সময় নীতীশের কাছের লোক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জেডিইউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন পিকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। অনেকেই মনে করেন নীতীশ গেরুয়া শিবিরের হাত ধরার ফলেই সমস্যার সূত্রপাত। প্রকাশ্যে মোদির বিরুদ্ধে কথা বলেন পিকে। পাশাপাশি এনআরসি-র বিরোধিতা করার ফলে দলের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন তিনি। ফলস্বরূপ জেডিইউ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।