বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে তিনি বলেন, এমপি হয়ে স্রেফ সংসদে চুপ করে বসে থাকতে পারছি না। দেশ, রাজ্য সম্পর্কে যদি কিছু বলতেই না পারলাম, তাহলে সংসদে বসে কী হবে? তাই অন্তরাত্মার ডাকেই ইস্তফা দিচ্ছি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে লিখিতভাবে ইস্তফা জমা দেন দীনেশ ত্রিবেদি। তা গ্রহণও করা হয়েছে। দীনেশবাবু ইস্তফা ঘোষণা করতেই রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এভাবে ইস্তফা দেওয়ার জন্য তাঁকে কীভাবে সময় করে দেওয়া হল, সেটাই প্রশ্ন। একইসঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল মানেই হল মাটির সঙ্গে যোগ। তাই শীঘ্রই আমরা সেরকমই কোনও কর্মীকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসব। সৌগত রায় বলেন, দলের মধ্যে দীনেশ কোনও ক্ষোভ জানাননি। দু’দিন আগে শারদ পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তবে ইস্তফা দেবেন ভাবিনি। তিনি বলেন, দীনেশের ইস্তফায় তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই বাংলার মানুষ ভোট দেবে। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ১৯৯০ সালে যেভাবে গুজরাত থেকে জনতা দলের এমপি হয়ে রাজ্যসভায় প্রবেশ করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদি, এবারও কি সেরকমই কোনও ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে তাঁর জন্য?
আগামী ১ মার্চ গুজরাতে রাজ্যসভার দুটি আসনে ভোট। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই অপেক্ষা সময়ের। জল্পনা, গুজরাত থেকে বিজেপির এমপি হয়ে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন তিনি? যদিও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেননি দীনেশবাবু। তবে বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। বলা বাহুল্য, তৃণমূলনেত্রী তাঁকে দু’বার বারাকপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভার ভোটে জিতিয়ে আনেন। গত ২০১১ সালে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলে নিজের ছেড়ে যাওয়া রেলমন্ত্রীর আসনে দীনেশকে বসান মমতা। এখন ভোটের মুখে এভাবে আচমকা সেই তৃণমূলনেত্রীরই সঙ্গ ছাড়ায় রাজনৈতিক মহলে দীনেশ ত্রিবেদির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।