বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময় আমরা পেট্রল, ডিজেল এবং মদের উপর অতিরিক্ত সেস চাপিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই বাড়তি সেস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে দুই জ্বালানি তেলের দাম লিটার পিছু পাঁচ টাকা কমবে। শুক্রবার রাত থেকেই নয়া দাম কার্যকর হবে। এর জেরে অসমের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি মদের দাম কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, গতবছর বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সময় মদের উপরও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সেস জারি করা হয়েছিল। তাও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
শুক্রবার গুয়াহাটিতে প্রতি লিটার পেট্রল বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা ৪১ পয়সায়। ডিজেলের দাম ছিল লিটার পিছু ৮৪ টাকা ২৯ পয়সা। মধ্যরাত থেকে এই দাম একধাক্কায় পাঁচ টাকা কমে যাচ্ছে। লিটারে পাঁচটাকা দাম কমায় বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে পেট্রলের দাম দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হতে চলেছে। তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে গুজরাতে পেট্রলের দাম সবচেয়ে কম। শুক্রবার গান্ধীনগরে এই জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৪টাকা ৬৭ পয়সায়।
এপ্রিল-মে মাসেই অসমে ভোট হওয়ার কথা। তার আগে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে মোটেই সুবিধাজনক জায়গায় নেই বিজেপি সরকার। মানুষের মনে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বাজেটে অসম জুড়ে রাস্তা তৈরির জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যে এসে ভূমিপুত্রদের একলক্ষ পাট্টা তুলে দিয়েছেন। তিনি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাঝেমধ্যেই অসমে আসছেন। সভা-সমাবেশ করছে। প্রতিবারই নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করছেন তাঁরা। এরমধ্যেই চমক দিতে পেট্রল, ডিজেল ও মদের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই সব চমক দিয়ে কোনও লাভ নেই। মানুষ সব বুঝতে পারছে।