বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মন্ত্রক বলেছে, এই উদ্যোগ জারি রাখতে হবে। অবস্থা ক্রমশ ভালো হচ্ছে বলে কোনওরকম গাছাড়া ভাব চলবে না। তাহলে ফের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই কন্টেইনমেন্ট জোনের ওপর কড়া নজরদারি আর রাজ্যগুলি আরও একটু বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতার বার্তা প্রচারে মানুষকে সতর্ক করতে পারলেই দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমানো যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক চাইছে, কেউ যাতে করোনার সংক্রমণ গোপন না করেন। কোভিডের কোনওরকম উপসর্গ দেখলেই যেন টেস্ট করানো হয়।
সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে সর্বোপরি টেস্টের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। টেস্টিং, ট্রেসিং এবং ট্র্যাকিং ঠিক মতো করতে পারলেই করোনার সংক্রমণের গতি শ্লথ করা সম্ভব। সেই কাজেও রাজ্যগুলি উল্লেখযোগ্য কাজ করছে বলেই জানিয়েছে মোদি সরকার। হু যে অঙ্ক বেঁধে দিয়েছে, তা ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, প্রতিদিন প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ন্যূনতম ১৪০ জনকে টেস্ট করতে হবে।
ভারতে তা অবশ্য অনেক বেশি হচ্ছে। দৈনিক গড়ে প্রতি ১০ লক্ষে ৮৪৪ জনের করোনার টেস্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের উদ্যোগও উল্লেখযোগ্য। এই রাজ্যে করোনার সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও সারছেও পাল্লা দিয়ে। বাংলায় দৈনিক গড়ে প্রতি ১০ লক্ষে ৫০৯ জনের টেস্ট হচ্ছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যা হু’র মাপকাঠির অনেক ওপরে। দেশের অন্যান্য রাজ্যও কমবেশি একই উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কারণেই মাত্র এক মাসের মধ্যে সক্রিয় আক্রন্তের সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে। আবার সুস্থ হয়েও বাড়ি ফেরার হার বাড়ছে। দেশে এখন ৮০ লক্ষ আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭৪ লক্ষ নাগরিক। যা অত্যন্ত আশার কথা। যদিও এরই মধ্যে ভাবাচ্ছে কেরল এবং দিল্লি। গত কয়েকদিনে কেরল থেকে ৭ হাজারেও বেশি দৈনিক সংক্রমণের খবর আসছে। রাজধানী দিল্লিতেও গত তিনদিন দৈনিক সংক্রমণের গড় সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এই দুই রাজ্যকে আরও কড়া হাতে সংক্রমণ রোখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।