বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
সমীরণবাবু আরও জানান, বিসিজি পরীক্ষিত পুরনো ভ্যাকসিন। এটি মূলত যক্ষ্মা রুখতে শিশুদের দেওয়া হয়। সদ্যোজাতকে সেপসিস এবং রেসপিরেটরি সংক্রমণ থেকেও বাঁচায় এই টিকা। কিন্তু এখন গবেষণায় প্রবীণদের মধ্যে যা ফল দেখা যাচ্ছে, তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। তাই যতদিন না নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন আসছে, ততদিন বয়স্ক ও কো মরবিড রোগীদের করোনা মোকাবিলায় বিসিজি টিকা দেওয়া যেতে পারে।
আইসিএমআর জানিয়েছে, জুলাই মাস থেকে ৮৬ জন প্রবীণ নাগরিকের উপর বিসিজির ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। চলেছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দেখা গিয়েছে, ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে যে ৫৪ জনকে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের শরীরে ইমিউনিটি প্রবল। তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। যা রুখতে সাহায্য করছে ‘সার্স কোভ-টু’র সংক্রমণ। এমনকী, মহিলাদের মধ্যেও কাজ করেছে বিসিজি।
আইসিএমআরের গবেষণাপত্রে প্রকাশ, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২৬ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী। ১৫ শতাংশের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। ৪ শতাংশ ধূমপায়ী এবং ৬ শতাংশ মদ্যপায়ী। তাও কাজে দিয়েছে বিসিজি।
তবে শুধুই বিজিসি বা অক্সফোর্ডের টিকার উপর ভরসা রাখা হচ্ছে না। দেশি-বিদেশি আরও দুই করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হচ্ছে ভারতে। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিনের ফেজ থ্রি পরীক্ষায় সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। দেশের ২৫টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের দেহে শুরু হচ্ছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল।
একইভাবে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’-রও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আরম্ভ হচ্ছে। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে ফেজ থ্রি ট্রায়াল শেষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এই টিকার ভারতীয় অংশীদার ডাঃ রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিস।