নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১ জুন: আত্মনির্ভর ভারতের ভরকেন্দ্র হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের উন্নতিকেই বাজি ধরছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণার সময় সেকথা তিনি এবং পরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও একাধিকবার বলেছেন। আজ সেই প্যাকেজের বৃহৎ অংশকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। যা আদতে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণেরই নামান্তর। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও বিভক্ত করা হয়েছে এই প্যাকেজকে। সরকার স্থির করেছে, ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল তৈরি করা হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। যার অভিমুখ হবে ইক্যুইটির জোগান সুনিশ্চিত করা। অর্থাৎ আত্মনির্ভর হওয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা আগামীদিনে শেয়ার বাজারেও প্রবেশ করতে পারবে। মোদির এই ঘোষণাকে ‘নতুন ভাঁওতা’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের মতে, এটা নতুন কিছু নয়। আগের ঘোষণাকেই নতুন মোড়ক দিয়ে চটকদারি উপস্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি লকডাউনের আগে ও পরে অতিরিক্ত রুগ্ণ হয়ে পড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিটগুলির জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি পৃথক তহবিলও রাখা হচ্ছে। এই তহবিলের মাধ্যমে ২ লক্ষ ইউনিটকে সহায়তা করা হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী নীতীন গাদকারি বলেছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে এই লোন এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে। মন্ত্রী বলেছেন, দেশে ৬ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট আছে, যারা কমপক্ষে ১১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ গ্রহণ করা হয়েছে কৃষি সংক্রান্ত একঝাঁক সিদ্ধান্ত। ১৪টি খরিফ শস্যের সহায়ক মূল্য ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, হকারদের জন্য একটি বিশেষ সহায়তা প্রকল্পও আজ ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে হকারদের। ৫০ লক্ষাধিক হকারকে ওই ঋণ দেওয়া হবে।