কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
বৈঠকে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন সোনিয়া গান্ধীও। বলেন, সংবিধানের অন্যতম ভিত্তিই যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, মোদি সরকার তা ভুলে গিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। নরেন্দ্র মোদির ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পাঁচদিন ধরে একটানা ব্যাখ্যাকে ‘নিষ্ঠুর পরিহাস’ বলে আক্রমণ করেন সোনিয়া। অনলাইন বৈঠকে মমতা বলেন, একদিকে কোভিড, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। করোনা মোকাবিলায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। তারই মধ্যেই এই বিধ্বংসী ঝড়। কেবল খরচ বাড়ছে, আয় নেই। করোনার কারণে কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও তৃণমূলনেত্রী মন্তব্য করেন। আজ সোনিয়া গান্ধীর ডাকা ওই বৈঠকে কলকাতা থেকে অনলাইনে যোগ দেন তৃণমূলনেত্রী। তবে দুর্গত এলাকার ত্রাণ ও পুনর্গঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি বৈঠকে ২০ মিনিট থেকেই চলে যান। বাকি সময় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ডেরেক ও’ব্রায়ান। বৈঠকের পর ডেরেক জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই, উদ্ধব থ্যাকারে, হেমন্ত সোরেনের মতো মুখ্যমন্ত্রীরাও কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ সরব হয়েছেন। ডেরেক বলেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি কঠিন হলেও কেন্দ্র সাহায্য করছে না বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি।
সোনিয়ার ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে আজ তৃণমূলনেত্রীই ছিলেন মধ্যমণি। তৃণমূলনেত্রীর অপেক্ষাতেই বসেছিলেন সোনিয়া থেকে শারদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব থ্যাকারে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মমতাদিদিই ছিলেন সবচেয়ে সরব। আমরাও ওনার সঙ্গে এই ব্যাপারে একমত। মহারাষ্ট্রেও একই রাজনীতি করছে বিজেপি। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে। কিন্তু বিরোধী দলের সরকারের সঙ্গে বিজেপি মোটেই ভালো ব্যবহার করছে না।