সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সৌদি আরবের তেলের ভাণ্ডারে হামলার পর গোটা বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহ ৫ শতাংশ কমেছে। ৫৭ লক্ষ ব্যারেল বা সৌদির উৎপাদিত তেলের প্রায় ৬০ শতাংশ তেলের ভাণ্ডার উড়িয়ে দিয়েছে আক্রমণকারীরা। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তেলের দাম হু হু করে বেড়েছিল। এখন তা খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও চিন্তা কমেনি বাজারের। সৌদি আরব অবশ্য জানিয়েছে দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বের তেল বাজারে এর প্রভাব বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ সৌদি আরব। আমদানিকৃত তেলের এক পঞ্চমাংশ আসে সেখান থেকে। প্রতি মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টন অপরিশোধিত তেল নয়াদিল্লিকে বিক্রি করে তারা। সেপ্টেম্বর মাসের বরাদ্দের মধ্যে ১২-১৩ লক্ষ টন তেল ইতিমধ্যেই ভারতের ভাঁড়ারে চলে এসেছে। ড্রোন হামলার পর থেকেই তেল সরবরাহ নিয়ে রিয়াধের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সেদেশের নয়া তেলমন্ত্রী যুবরাজ আব্দুলআজিজ বিন সলমনের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। চুক্তি অনুযায়ী তেল সরবরাহের ব্যাপারে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যুবরাজ। যদিও, এলপিজি রপ্তানিতে খানিক বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে সৌদি। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিং জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এলপিজি ঘাটতি কাতার থেকে কিনে মেটানো হবে। শুধু ভারত নয়, সৌদি আরবের তেলের উপর নির্ভরশীল চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সেখানেও।