সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
আইসিআইসিআই ডিরেক্ট রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার আচমকা কর্পোরেট কর প্রায় ৩৫ শতাংশ থেকে ২৫.১৭ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। থমকে থাকা বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে এটি একটি বৃহৎ পদক্ষেপ। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় কর্পোরেটদের হাতে টাকার জোগান বাড়বে। যা তাদের ঋণের বোঝা কমাতে বা লগ্নির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে ছোট আকারে দেখলে, ব্যাঙ্কিং এবং ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক সেক্টরের বার্ষিক বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮.২ এবং ১৮ শতাংশে। যা আগে ছিল যথাক্রমে ৪২.২ এবং ১২.২ শতাংশ। বাণিজ্যিক গাড়ি উৎপাদন সংস্থাগুলিও এর সুবিধা পাবে। কিন্তু এর উল্টোদিকে করের হার কম থাকায় আইটি এবং ফার্মার মতো সেক্টরগুলিতে কোনও উন্নতি দেখা যাবে না।
রিপোর্টের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়ছে, সিমেন্ট সংস্থাগুলিতে করের হার বেশি ছিল। ফলে কর কমানোর সুবিধা পাবেন তারা। হোটেল, লজিস্টিকস, মদ, ধাতু এবং খনি শিল্পও লাভবান হবে। তবে সবথেকে বেশি লাভ হওয়ার কথা ভোগ্যপণ্যের বাজারের। এই সেক্টরে ৫ থেকে ১২ শতাংশ আয় বাড়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোগ্যপণ্যের দামও কমতে পারে। বাড়তে পারে চাহিদাও।
অন্যদিকে, রবিবার লখনউ আইআইএমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কর কমানোর পিছনে বার্তা খুব স্পষ্ট- সংস্থাগুলির আরও সম্পদ, আরও বিনিয়োগ, আরও কর্মসংস্থান, বেশি উন্নয়ন, চাহিদা, উৎপাদন এবং আয় বৃদ্ধি। এই ঐতিহাসিক এবং সাহসী সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অভিনন্দন জানাই।’ নিজের রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।