সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
ক’দিন আগে মহারাষ্ট্রের ভোট ময়দানে নেমেই প্রচারের অভিমুখ ঠিক করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তাঁর সুরেই মুম্বইয়ের জনসভায় শাহও নতুন কাশ্মীর গড়ার ডাক দিয়ে নিশানায় রাখলেন বিরোধীদের। কাশ্মীর সঙ্কটের জন্য তিনি কাঠগড়ায় তুললেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাশ্মীর সমস্যা দেশের প্রথম নির্বাচিত সরকারের তৈরি। আজকের পাক অধিকৃত কাশ্মীর সৃষ্টির পিছনে দায়ী ছিলেন নেহরু। তিনি অসময়ে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করেই সমস্যা তৈরি করেছিলেন। তাঁর সেই ঘোষণার কারণেই ভারতের অখণ্ডতা নষ্ট হয়েছে। গলার কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।’ এখানে থেমে না থেকেই কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস এখনও রাজনীতি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শাহ। এক্ষেত্রে বিঁধতেও ছাড়েননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী কিংবা এনসিপি সুপ্রিম শারদ পাওয়ারকে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেস। আসলে রাজনীতিতে বেশি বয়স হয়নি রাহুল গান্ধীর। তাঁর পক্ষে কাশ্মীর সমস্যার ইতিহাস জানা সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেপির তিন প্রজন্ম কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতকে একাত্ম করতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির জন্য তাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহসী সিদ্ধান্তে তাঁদের আত্মবলিদান আজ বিফলে যায়নি।’ এর পরেই রাহুল ও পাওয়ারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শাহ বলেছেন, ‘আপনারা ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। জনগণের কাছে গিয়ে বলুন, আপনারা সমর্থন করছেন, নাকি বিরোধিতা করছেন।’
এরই পাশাপাশি এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন কাশ্মীর গড়ারও ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন কাশ্মীর গড়তে এখন পর্যন্ত সরকার ২ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’ কর্মসংস্থান, উন্নয়নের সঙ্গে কাশ্মীরিদের বাড়ির ছাদ সোনায় মুড়ে ফেলা হবে বলেও দাবি করেছেন শাহ। সরকারের এই কাশ্মীর-সাফল্যকে প্রচারের হাতিয়ার করে দলীয় কর্মীদের ভোট ময়দানে নেমে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।