মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
৯ আগস্ট থেকে বক্ষ বিভাগে ভর্তি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শাহিদ বিশ্বাসের মা। প্রথমে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকেই এসএসকেএমে রেফার করা হয় মহিলাকে। তাঁর বুকে জল জমার সমস্যা দেখা দিয়েছে। শাহিদ পেশায় কৃষক। বললেন, ‘৯ তারিখে ডাক্তারবাবু কয়েকবার এসে দেখে গিয়েছিলেন। তারপর সেরকম আর আসেননি। রক্তের অনেকগুলি পরীক্ষা, এক্স রে থেকে স্টুল-ইউরিন ইত্যাদি সব পরীক্ষা হচ্ছে, কিন্তু তার রিপোর্ট আসছে অনেক পরে।’ জানা গিয়েছে, অনেকে বেসরকারি জায়গা থেকে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে আসছেন। শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে কাউন্টারে তিনজন দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত। একবালপুরের নিগার সুলতানার মেয়ের গলায় অসুখ। সামনে ওর মাধ্যমিক পরীক্ষা। নিগার বললেন, ‘ঠিক কী হয়েছে, ডাক্তারবাবুরা কিছুতেই বলছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করলে খারাপ ব্যবহার করছেন। ১৪ আগস্ট এলাম। তখন একটা ডেট দিল। এরপর আবার তা বদলে দিয়ে ২৩ আর ৩০ সেপ্টেম্বর করে দিল। এর মাঝে একটা টেস্ট হল। তার রিপোর্ট এখনও পেলাম না।’ নিগারের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর বেসরকারি জায়গা থেকে শারীরিক পরীক্ষা করার সামর্থ নেই। ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। নিগারের পাশে দাঁড়িয়ে শেখ মুস্তাকির নামে এক ব্যক্তি। বজবজের এই বাসিন্দা বললেন, ‘মাস দু’য়েক আগে ডাক্তার দেখালাম। গত সপ্তাহে শুক্রবার রক্ত দিলাম। আজকে রিপোর্ট নিতে এলাম, এখন তিনটে বাজতে যায়। এখনও রিপোর্ট পেলাম না। আবার একদিন ডাক্তার দেখাতে আসতে হবে।’ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছিলেন নিগার। বললেন, ‘একটা মেয়ের সঙ্গে ওইরকম অপরাধ হয়েছে বলে ওঁদের আন্দোলন সমর্থন করছি। কিন্তু তা বলে আমরা পরিষেবা পাব না? এটা কেন হচ্ছে?’