কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
কমিটির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে সরাসরি রেলমন্ত্রকের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার সঙ্গে স্বর্গের টিকিটও ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে দেখছি।’ পাল্টা ওই কমিটির সদস্য তথা বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘স্টাডি ট্যুরের সঙ্গে রাজনীতিকে মেলাতে চাইছেন কমিটির চেয়ারম্যান।’ বিধানসভার একাধিক কমিটি রয়েছে, যারা বছরের বিভিন্ন সময় স্টাডি ট্যুর বা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। তথ্য সংগ্রহ করে। এলাকা পরিদর্শনের পর একটি রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। ওই এলাকার বর্তমান কী অবস্থা, আরও কীভাবে সেখানে উন্নয়ন করা যায়, কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকে রিপোর্টে। এরকমই এক স্টাডি ট্যুরে যাচ্ছে বিধানসভার পরিবেশ, বন ও পর্যটন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। জুলাই মাসের ১-৬ তারিখ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যরা। কমিটিতে তৃণমূল ও বিজেপি মিলিয়ে ১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিধানসভার সচিবাচলয় সূত্রে খবর, তাঁরা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় পরিবেশ, বনাঞ্চল, বণ্যপ্রাণ, পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখবেন। সোমবার উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর কমিটির সদস্যরা কোন ট্রেনে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কৌতূহল ও জল্পনা দুই-ই বেড়েছে। যাত্রী সুরক্ষার দিকে রেলমন্ত্রকের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সূত্রেই সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শওকত মোল্লা বলেন, ‘ট্রেনে যেতে গেলে ভয় হয়। রেলের গাফিলতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা শিকেয় উঠেছে। প্রতি বছরই ট্রেন দুর্ঘটনা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এখন ট্রেন যাত্রাই আতঙ্কের হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে।’ সূত্রের খবর, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তৃণমূল বিধায়করা সবাই এই সফরে শামিল হচ্ছেন। কিন্তু সব বিজেপি সদস্য যাবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘আমি উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছি না।’ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেছেন, ‘স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ করব কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’