কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবার রাজ্যের কৃষি পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিটি জেলার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনা, কৃষি অধিকর্তা আশুতোষ মণ্ডল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকেও রাজ্যের এই সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আরও কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি নজর দেওয়ার প্রয়োজন সে বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরে শোভনদেববাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কাজ করেই আমরা সফল হয়েছি এবং কেন্দ্র আজ বাংলাকে মডেল বলে তুলে ধরছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রের কাছে সার সরবরাহ ঠিক রাখার দাবি জানাব।
লোকসভা নির্বাচনের পরে এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে খরিফ ও রবি মরশুমে রেকর্ড শস্য উৎপাদনের লক্ষ্য রেখে বেশকিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফসল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্তরকম সহায়তা দেবে কৃষিদপ্তর। এর পাশাপাশি, রাজ্যের অধীন কৃষি খামারগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খামারগুলিতে পর্যাপ্ত জলের জোগান নিশ্চিত করতে পুকুর কাটা হবে।
এছাড়া দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো পাহাড়ি এলাকায় ধানের বদলে বিকল্প চাষের উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো অন্য রুক্ষ এলাকাগুলিকেও এমন অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে।