কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
বর্ষা না এলেও আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন। এতে গরম সামান্য কমে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। দক্ষিণবঙ্গ বা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জন্য আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত ‘ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেড’ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অনেক জায়গায় (৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত) বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে এটা বলা হয়। উত্তরবঙ্গের জন্য ‘ওই সময়ে ‘ওয়াইড স্প্রেড’ বৃষ্টির পূর্বাভাসই থাকছে। অধিকাংশ জায়গায় (৭৬ থেকে ১০০ শতাংশ) বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে এই পূর্বাভাস জারি করে আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বা দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন কোনও জায়গায় নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। সেরকম কিছু হলে সক্রিয় বর্ষা প্রবেশ করত দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু যে বর্ষা শুক্র-শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে সম্ভবত প্রবেশ করতে চলেছে তা দুর্বলই হবে। তাই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই।
আষাঢ় মাস পড়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা না আসায় সাধারণ মানুষও কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বর্ষা কবে এসে প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি দেবে তা সবাই জানতে চাইছেন। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য দেরিতে বর্ষা আসার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাচ্ছেন না।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, অতীতে ২৫ জুন বা তার পরেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার নজির আছে। গতবছরও ২০ জুনের পর বর্ষা এসেছিল। উত্তর ভারতের দিক থেকে প্রবাহিত পশ্চিমী উষ্ণ ও শুষ্ক গরম হাওয়া বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে। মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলে এই পশ্চিমী হাওয়া আসতে বাধা পাবে। তাতে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কমবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা আর দেওয়া হয়নি। তবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় অস্বস্তিকর গরম আজও থাকবে। বুধবার থেকে আগামী কয়েকদিন এই ধরনের গরমের কোনও পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের কোনও জায়গার জন্য দেওয়া হয়নি। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার জন্য ভ্যাপসা গরম চলবে দক্ষিণবঙ্গে।