প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
গত কয়েকদিনে বিভিন্ন ভিডিওর সূত্র ধরে নতুন মোড় নিয়েছে সন্দেশখালি কাণ্ড। আর তার জেরে চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটের আগে কার্যত বেসামাল গেরুয়া শিবির। তিন দিন আগেই সন্দেশখালির মহিলারা প্রকাশ্যে এসে দাবি করেছেন, স্থানীয় বিজেপি নেতা-নেত্রীরা সাদা কাগজে তাঁদেরকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। পরে সেই সাদা কাগজই রূপ নেয় ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে। তা প্রত্যাহার করে নিতে উদ্যোগী হলে বিজেপির তরফে প্রাণনাশের হুমকি আসছে।
তৃণমূল জানতে পেরেছে, গ্রামের মহিলারা সাদা কাগজে সই করেছিলেন বাংলায়। পরে সেই কাগজে ইংরেজিতে অভিযোগ লেখা হয়। এপ্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, ‘জোর করে ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করাতে বাধ্য করেছিল বিজেপি। জাতীয় মহিলা কমিশিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাকে ছোট করার জন্য এটা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।’ রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও বলেছেন, ‘জাতীয় মহিলা কমিশন এসেছে এই দাবি করে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে জোর করে সই করানো হয়। এই ঘটনা ন্যক্কারজনক। সন্দেশখালি তথা বাংলাকে বদনাম করা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে।’
নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে রেখা শর্মা অবশ্য উল্লেখ করেছেন, ‘কমিটির সদস্যরা সন্দেশখালি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন বহু মহিলা এসে শেখ শাহজাহানের সঙ্গীদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ জানান। লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা।’
এই ঘটনায় ‘জল অনেক দূর’ নিয়ে যাবে তৃণমূল, একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, সাম্প্রতিক সব ভিডিওতে অভিযোগকারী ও বিজেপির মণ্ডল সভাপতিদের দেওয়া বক্তব্য রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ জানাব।