প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থীর সমর্থনে এদিন জেলায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়। এদিকে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে দুপুর ৩টে নাগাদ মাজদিয়ার সভায় আসার কথা ছিল শাহের। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৪টে ২০মিনিট নাগাদ সভাস্থলে আসেন শাহ। মাত্র ১০ মিনিটের বক্তব্যে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধনা করা, সন্দেশখালি প্রসঙ্গ এবং নাগরিকত্ব নিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি কথা বলেন।
এদিন মঞ্চে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ছাড়াও একাধিক বিধায়ক, রাজ্য ও জেলা সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন। কর্মীদের আশা ছিল, নির্বাচনের দু’দিন আগে মেগা জনসভায় কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়বে। সর্বোপরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে এসে শাহি চমক দিতে চেয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু অমিত শাহের বক্তব্য শেষ না হতেই সভাস্থলের সামনের অংশ থেকে চেয়ার খালি হতে শুরু করে। অমিত শাহ তখনও মঞ্চ ছাড়েননি। অথচ ততক্ষণে মাঠ ছাড়তে থাকে ভিড়ের একটা বড় অংশ। কেন মাঠ ছাড়ছেন, এই প্রশ্ন করতেই অনেকে বলেন, অমিত শাহকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তাই এসেছিলাম। হিন্দি কথা কিছুই তো বুঝি না। আবার কেউ কেউ বলেন, বেলা ১২টা নাগাদ এসেছিলাম। এই গরমে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। মাত্র ১০ মিনিট বক্তৃতা রাখলেন। আরও দেরি করলে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। দলীয় কর্মীদের অনেকেই বলছেন, কৃষ্ণগঞ্জে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তার থেকেও বেশি রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও এবিষয়ে নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শাহর সভা উপলক্ষ্যে মাঠের ভিতরে যত লোক ছিল, তার দ্বিগুণ জনস্রোত ছিল রাস্তায়।