কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
বিনয় ভবনে এমএড কোর্সে মোট আসন ৫০টি। এর মধ্যে ২৫টি আসন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে নেওয়া হয়েছিল প্রবেশিকা। বিশ্বভারতী ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সেই পরীক্ষায় বসেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণমান ১০০-র মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ। বাকি ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। প্রকাশিত মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। আর সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভাষা বিভাগে দুই পড়ুয়া ১০০-র মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫। আবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫। কীভাবে এটা সম্ভব? তা নিয়েই ধন্দে পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তি চরমে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এমএড-এ ভর্তির জন্য এতদিন যে অ্যাডমিশন কমিটি ছিল, এবছর তাতে রদবদল করা হয়েছে। তার জেরেই এই বিপত্তি। অনলাইনে পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের মূল্যায়নের শংসাপত্র পোর্টালে আপলোড করা বাধ্যতামূলক। সেগুলি ঠিকমতো যাচাই করা হয়নি বলেই মেধা তালিকায় এই গরমিল। যদিও এক আধিকারিকের দাবি, পরীক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য ও নম্বরের ভিত্তিতেই পোর্টালে নম্বর তোলা হয়েছে। এই নম্বরের আর পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে কাউন্সেলিং পর্বে সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করে, সঠিক মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘মেধা তালিকার কোথাও ছাত্রাছাত্রীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। তাই, ভর্তি পর্বের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই বা কী করে বিশ্বভারতীর জন্য সংরক্ষিত তালিকায় স্থান পেলেন? এটা চরম গাফিলতি।’
অবিলম্বে সঠিক ও স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, সমস্যা যদি পোর্টালের হয়, তাহলে অন্য বিভাগের মেধা তালিকাতেও তা ধরা পড়ত। কিন্তু এমএড-এর মেধা তালিকায় যেভাবে নম্বর বসানো হয়েছে, তাতে স্বজনপোষণের আশঙ্কা যথেষ্ট। একের পর এক বিতর্কের মধ্যে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি আরও একবার ক্ষুণ্ণ হল। আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।- নিজস্ব চিত্র