কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
উৎসব মরশুমে নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে ভিন্ন মত উঠে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত।’ তবে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ফেস্টিভ মুড বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে যাব।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মরশুমে ভোট ঘোষণা নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। দিন পরিবর্তনের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘ভবানীপুরের সঙ্গেই বাকি আসনের ভোটগ্রহণ কেন হল না? বাংলার উৎসব মরশুমে কেন এই সিদ্ধান্ত?’
কোভিড পর্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং প্রচার পর্বে বিস্তর বিধিনিষেধও আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনও শোভাযাত্রা করা যাবে না। তিনটির বেশি গাড়ি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতে পারবেন না প্রার্থীরা। প্রচারপর্বে ইন্ডোর সভায় আসন সংখ্যার ৩০ শতাংশ পূরণ বা ২০০ লোক (যেটা কম হবে) থাকবে। প্রকাশ্য সভায় সভাস্থলের ৫০ শতাংশ পূরণ অথবা ৫০০ লোক (যেটা কম হবে) থাকবে। তারকা প্রচারক হিসেবে দলপিছু ২০ জন রাখা যাবে। রোড শোয়ের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কমিশন। মাত্র ৫০ জনকে নিয়ে করতে হবে পথসভা। বাড়ি বাড়ি জনসংযোগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সঙ্গে সর্বাধিক চারজন থাকতে পারবেন। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দলপিছু ২০টির বেশি গাড়ি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। প্রতিটি গাড়িতে বহন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী থাকবে, এই শর্তও দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টা ‘সাইলেন্স পিরিয়ড’ হিসেবে গণ্য করা হবে।