বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় ও সৃজন ভট্টাচার্য’র মতো দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব জানায়, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ও বেকারদের কাজের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার ছাত্র-যুব’র মিছিল আগাগোড়া ছিল শান্তিপূর্ণ ও প্ররোচনাহীন। সেই কারণে কলেজ স্ট্রিট থেকে পুলিস এসকর্ট করে মিছিলকে ধর্মতলা পর্যন্ত নিয়ে আসে। কিন্তু আসলে তারা বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে মারবে বলে পরিকল্পনা করেছিল। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সঙ্গে নির্বিচার লাঠিচার্জ—পুলিসের নির্মম অত্যাচারে অন্তত শ’পাঁচেক বিক্ষোভকারী আহত হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের চোখের অবস্থা খারাপ। একজনের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মহিলা বিক্ষোভকারীদের উপর পুরুষ পুলিসরা দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে। এসবের ছবি ও ভিডিও আমরা সংগ্রহ করেছি। এই ধরনের কর্মসূচি সামলানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিধি বা নিয়ম মানেনি পুলিস। এমনকী, কলকাতা পুলিস এলাকায় রাজ্য পুলিসের এক বড় কর্তাকে পর্যন্ত লাঠি হাতে দেখা গিয়েছে। তাই এনিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে ওইদিন দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্তাদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে দলের আইনজীবী নেতা তথা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মহিলা ও মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। আইনি পথের পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে এবার বুথওয়ারি প্রচারেও তারা নামাচ্ছে সব সংগঠনকে।
এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিসও চুপ করে বসে নেই। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা রুজু করেছে তারা। পুলিসের উপর হামলা ও মারধর, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করা ইত্যাদি নানা ধারা যুক্ত করা হয়েছে ওই মামলায়। তবে নির্দিষ্ট কারও নাম ওই মামলায় আপাতত নেই বলে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা বলবৎ করা হয়নি।