বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ভবানীপুর কেন্দ্রে টলি তারকা... এই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, ‘শুধু ভবানীপুর কেন? বিধানসভা ভোটে বিজেপির আরও অনেক চমকই থাকবে। তবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত করে বলার সময় আসেনি। আলোচনা চলছে।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের বিধানসভা ভোট কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে সেভাবে অগ্রসর হতে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভা আসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের সম্ভাব্য ‘চমক’-এর জল্পনাকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে টলি ইন্ডাস্ট্রির কোন কোন পরিচিত মুখ বিজেপির নজরে রয়েছে? প্রকাশ্যে অবশ্য এইসব নাম নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতাই। তবে বিজেপির অন্দরের খবর, বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল বহু বাংলা ছবির একজন নায়িকার নাম নিয়ে এক্ষেত্রে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি এমন মুখ নিয়েও কথাবার্তা চলছে, যিনি বা যাঁরা অভিনয়ের সূত্রে সাধারণ মানুষের কাছে অতি পরিচিত এবং সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকার আদি বাসিন্দা। দলীয় সূত্রের খবর, এরকম অন্তত জনা তিনেকের নাম নিয়ে চর্চা চলছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডে। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি।
কিন্তু ভবানীপুরের মতো কেন্দ্র, যা কি না তৃণমূলের একপ্রকার দুর্ভেদ্য দুর্গ, সেখানে চমকের ঝুঁকি কেন নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর মাস্ট্রারস্ট্রোক দিতেই খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। এখন নন্দীগ্রামেও দলের প্রার্থী বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপির একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দাঁড় করিয়ে ভবানীপুরে অরাজনৈতিক কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে। ভবানীপুরে তারকা-প্রার্থী হলে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া অনেক বেশি সহজ হতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবিরের একটি অংশ। যদিও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও আদি-নব্য বিজেপির কোন্দলের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘চমক’ দেওয়ার জন্য ভবানীপুরে তারকা-প্রার্থীকে দাঁড় করালে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কি না, তাও ভাবাচ্ছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে।