কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
মামলাকারী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ১২টি বেসরকারি ও পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল কলকাতায় ‘বায়ো-মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হ্যান্ডলিং রুলস, ১৯৯৮’ মেনে চলছে না। ফলে দূষণ ছড়ানোর পাশাপাশি রোগ বিস্তারের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে মামলাটি চলছে। প্রথম দিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি শুনানিতে সাড়া না দেওয়ায় আদালত কঠোর নির্দেশ দেওয়ার পরই পরিস্থিতির বদল হয়। নিয়মবিধি তারা মানতে শুরু করে।
অন্যদিকে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে যে রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। তাতে দেখা যাচ্ছে, অনেক হাসপাতালের দূষণ সংক্রান্ত কাগজপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কোনওটা ২০১২ সালে, কোনওটা ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে। তরল বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা বস্তুত কোথাও নেই। স্যালাইনের বোতল নষ্ট না করেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সব ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক জিনিস নেই। কোথাও আবার জেনারেটর নেই। পর্ষদ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। কিন্তু, দু’বারেও সেই নোটিসে সাড়া মেলেনি। ট্রাইব্যুনাল তখন জানতে চায়, কেন হাসপাতালগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না?
এই প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানায়, এই প্রসঙ্গে প্রশাসনিক নির্দেশ মিলেছে। অর্থদপ্তরের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। প্রকল্প স্থাপনের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে। সেই মতো ছ’টি সরকারি হাসপাতালে ২০২১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।