মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর লাগোয়া এই থানা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় কারখানা গজিয়ে উঠছে। সেখানে জমির দামও যথেষ্ট। চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হতেই ভুয়ো কাগজ বানিয়ে জমির দালাল চক্রের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কম টাকায় জমি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিকারের কাছ থেকে টাকা লুট করছে এই চক্র। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এমন একাধিক বিষয় নজরে পড়েছে পুলিসের। এই চক্রগুলির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাউদোহা থানার খাটগড়িয়ায় একটি বেসরকারি কারখানা রয়েছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই কারখানার মালিক নিজের ও স্ত্রীর নামে ওই এলাকায় প্রায় ২২ বিঘা জমি কিনেছিলেন। প্রতারকদের নজর পড়ে সেই জমির উপর। তারা কিছু অসাধু প্রশাসনিক লোকজনের সাহায্যে জমির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। ওই এলাকার মধুসূদন ফৌজদার, উকিল মণ্ডল, সেরিফ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে এই অসাধু চক্রটি গড়ে ওঠে। অভিযোগ, তারা ওই জমি দেখিয়ে শিকার খোঁজার চেষ্টা করে। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে ওই থানার শিবপুর ফুলঝোড় এলাকার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও সাধনা মুখোপাধ্যায়কে জমির ভুয়ো মালিক সাজায়। এরপর তাদের ফাঁদে পা দেয় পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকার এক ব্যবসায়ী। জমির ভ্যালুয়েশন অনুযায়ী প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার জমি তাঁকে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকায় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সস্তায় জমি পাচ্ছেন ভেবে তিনি প্রতারকদের রেজিস্ট্রি খরচ সহ সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। ২২ বিঘা জমির মধ্যে ৯ বিঘা এভাবে বিক্রি হয়ে যায়। জানাজানি হতেই কারখানার মালিক ২৯ জুন থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে দ্রুতগতিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস।
কয়েকদিনের মধ্যেই চক্রের দুই মূল পাণ্ডা মধুসূদন ফৌজদার, উকিল মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়। তারপর ভুয়ো জমির মালিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও সাধনা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, পুলিসের লক্ষ্য ছিল জাল ভোটার কার্ড প্রস্তুতকারককে খুঁজে বের করা। তাই অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাতেই উঠে আসে লাউদোহার ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষের নাম। সোমবার তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিস।
তবে, এই ঘটনার পর্দা ফাঁস হলেও পুলিসের নজরে এসেছে জমির এমন বহু দালাল চক্র গজিয়ে উঠেছে। যারা ভুয়ো নথি দেখিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ভুয়ো নথি দেখিয়ে মানুষকে জমি বিক্রির নামে প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পাঁচজনকে ধরা হয়েছে। তবে, একই জমিকে একাধিকবার বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়েও নানা অভিযোগ আসছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গলদ দেখলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।