দেরাদুন: গোটা জঙ্গলে পাহারা দেওয়াই হল তাদের কাজ। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে কি হয়। কিন্তু এখনকার দিনে শরীরচর্চা করতে গেলে জিম না হলে চলে না। এবার পাহারাদার হাতিদের জন্য তাই জিমখানা খুলে ফেলল উত্তরাখণ্ডের রাজাজি বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প। দেশে হাতিদের জন্য এমন জিমখানা এই প্রথম। রাজাজির ডিরেক্টর অমিত ভার্মা বলেন, ‘জিমে নিয়মিত কসরত করলে তারা (হাতিরা) আরও স্ফুর্তিতে থাকবে এবং দৌড়ঝাঁপ করতে আরও সুবিধা হবে।’ আসলে পাহারাদার এই হাতিদের থেকে বন্য হাতিরা বেশি শরীরচর্চা করার সুযোগ পায়। কারণ তাদের বিচরণক্ষেত্র অনেক বড়। আর কোথাও যাতায়াতে বাধা থাকে না। দলে দলে বেরিয়ে নিজের ইচ্ছামতো তারা ঘোরাঘুরি করতে পারে। কিন্তু রাজাজির মতো আরও অন্য অভয়ারণ্যে যে হাতিরা পাহারাদারের কাজ করছে, তাদের ঘোরাফেরা করার পরিধিটা অনেকটাই ছোট। নির্দিষ্ট যে জায়গায় তাদের পাহারা দেওয়ার কথা, সেখানেই দিনরাত তারা বিচরণ করে বেড়ায়। তাই এবার সেই পাহারাদারদের আরও মজবুত করতে জিমখানা বানিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাইছে বনদপ্তর।
জানা গিয়েছে, আপাতত ছ’টি হাতিকে ওই জিমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে তিনটি পূর্ণবয়স্ক এবং তিনটি হাতিশাবক রয়েছে। অনুশীলনের মধ্যে মাড বাথ ও বল খেলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ রীতেশ যোশি বলেন, পাহারাদার হাতিদের এই ধরনের অনুশীলন তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাবে। এছাড়া যেকোনও রকমের অবসাদের সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করবে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে রাজ্যে ২১টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এবং তা চোরাশিকার বা বিষক্রিয়ায় নয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তারা মারা গিয়েছে।
পশু বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, মানসিক অবসাদের কারণে বহু হাতিই অসুস্থতায় ভোগে। তাই হাতিদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে রাজাজি অভয়ারণ্যের এই উদ্যোগ।