মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ফেব্রুয়ারির অনেক আগের কথা। তখনও মারণ কোভিড হানা দেয়নি রাজ্যে। সবকিছুই চলছিল স্বাভাবিক ছন্দে। রাজারহাট-নিউটাউন, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে ফ্ল্যাটগুলি নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ক্রেতারা। সঙ্গে সরকারের ঘরে জমা দিয়েছিলেন অগ্রিম টাকাও। কিন্তু লকডাউনের কবলে সবই বানচাল হয়ে যায়। টাকা দিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন গ্রাহকরা। তাঁদের উদ্বেগ-মুক্ত করতেই বিকল্প পথের খোঁজ করছিল রাজ্য। গত সপ্তাহে আবাসন পর্ষদের বোর্ড-বৈঠকে ফ্ল্যাট বণ্টনে অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় বলে সূত্রের খবর। ওই বৈঠকের পৌরোহিত্য করেছিলেন আবাসনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সরকারের আবাসন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য মূলত দু’টি—এক, সরকারি কর্মীদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া। দুই, কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি করে রাজ্যের কোষাগারে আয় বাড়ানো। সাধারণ মানুষের আয়ের মাপকাঠিতে ফ্ল্যাট বিক্রির তিনটি পর্যায় রয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। আবাসন প্রকল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে বিজ্ঞাপন বেরনোর পর সরকারি ফ্ল্যাট নেওয়ার আবেদন করতে পারেন সাধারণ গ্রাহকরা। সেইসঙ্গে অগ্রিম টাকা দিয়ে ‘বুকিং’ও করতে হয়। এর পরের ধাপ ফ্ল্যাট বণ্টন। লটারির মাধ্যমেই শুরু হয় এই প্রক্রিয়া। এতদিন সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এসে লটারিতে অংশ নিতে হত গ্রাহকদের। এবার অনলাইন লটারি প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ক্রেতাদের উপস্থিতির আর প্রয়োজন থাকছে না। শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরে বসেও লটারিতে অংশ নিতে পারবেন ক্রেতারা।
আবাসন সূত্রে খবর, শুধু নতুন ফ্ল্যাটের বণ্টনই নয়। পুরনো প্রকল্পগুলিতে বহু ফ্ল্যাট অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলির সংখ্যা কত, তা নিয়ে একটি সমীক্ষার কাজ শুরু করছে আবাসন দপ্তর। সেই তথ্য হাতে এলে বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রেও সম্ভবত অনলাইন ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেবে রাজ্য।