বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
সূত্রের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুসারে এই কাজে নামে পঞ্চায়েত দপ্তর। গ্রামীণ এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট-বড় পুকুর থাকে। যার অধিকাংশই স্নান করা ও বাসন ধোয়া ছাড়া ব্যবহার হয় না। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, সেই পুকুরে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষ করুন মহিলারা। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামোগত সুবিধা সবটাই দেবে। জানা গিয়েছে, মিন মিত্রা প্রকল্পে রাজ্যের ৩৪১টি ব্লক থেকে দু’জন করে অর্থাৎ ৬৮২ জন মহিলাকে বাছাই করা হয়েছে। এঁদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জলের চরিত্র এবং মাটি পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট পুকুরে মাছ চাষের আদর্শ উপায় বাতলে দেবেন। রাজ্য সরকার সেইসব পরীক্ষার জন্য কিট দেবে। এরফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই মহিলারা পুকুর পিছু একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে এই মিন মিত্রাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলায় কয়েক লক্ষ মহিলা নিজের পুকুরে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে আট লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের একটা বড় অংশ এই নয়া প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। এখন প্রতিটি ব্লকে পুকুরের সংখ্যা ও জলের চরিত্র নিয়ে সমীক্ষার কাজ চলছে। মহিলাদের আত্মনির্ভর করার এই প্রকল্পে টাকার সংস্থান নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য।