বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিহার সংলগ্ন একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে রাজ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। তার জেরে দার্জিলিং এবং পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে বুধবার তুষারপাত হয়। চলতি বছরে এটি দ্বিতীয়বারের তুষারপাত। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গেও শীতের অতি হাল্কা থেকে হাল্কা অনুভূতি ছিল। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। বুধবার বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানী গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর-পূর্বে সরে অসমের দিকে যাচ্ছে। সেই কারণেই আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের প্রায় সব জেলায় আকাশ মোটামুটিভাবে পরিষ্কার থাকবে এবং রোদ উঠবে। এর ফলে আজ এবং আগামীকাল শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা কমবে। উত্তুরে হাওয়া আবারও আজ থেকে কিছুটা জোরালো হওয়ায় রাতের তাপমাত্রা দু’থেকে তিন ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কম থাকবে। গোকুলবাবু বলেন, আমরা আশা করছি কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দু’ডিগ্রি কমে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক থাকার কথা। এদিকে তরাই ও ডুয়ার্সের জেলাগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে কুয়াশা থাকার কথা আজ। তবে দার্জিলিং ও সন্নিহিত এলাকা প্রসঙ্গে ওই আবহাওয়াবিদ বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়ে দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সুযোগ রয়েছে। এদিন টাইগারহিল, সান্দাকফু, ধত্রিয়া, টুমলিং, টুংলুতে ভারী তুষারপাত হয়। এছাড়াও ঘুম, সুখিয়া, দার্জিলিং শহর, জোড়বাংলোতে সামান্য তুষারপাতেরপরই জোরে বৃষ্টি নামে।
শীতের মরশুমে দেখা যায়, উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে গেলেই হিমেল উত্তুরে হাওয়া পৌঁছয় দক্ষিণবঙ্গে। ফলে শীত অনুভূত হয়। সেই একই কারণে রাজ্যের উত্তরভাগে তুষারপাত হয় ও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে। যেহেতু ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নীচের দিকে নামার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই শীতের পরিস্থিতি কি আবারও ফেরার কোনও সম্ভাবনা আছে? গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হয়তো আসবে। কিন্তু তার জেরে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি এলাকায় ঠান্ডা থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তার আর তেমন প্রভাব পড়বে না।