বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
ডিজিজিএসটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কাগুজে কোম্পানি খুলে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বাবদ সরকারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার প্রবণতা বাড়ছে। কলকাতায় এই ধরনের কোম্পানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেই ধরনের একাধিক কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। তা করতে গিয়েই এই দশটি কোম্পানির সন্ধান মেলে। দেখা যায়, বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করা হয় বলে খাতায় কলমে কোম্পানিগুলির তরফে দেখানো হয়েছে। যদিও বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই। কিন্তু এগুলি কারা চালাচ্ছে, তা জানতে গিয়ে দুই ব্যক্তির খোঁজ মেলে। জানা যায়, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক কোম্পানিকে তারা ভুয়ো ইনভয়েস সাপ্লাই করছে বিভিন্ন কোম্পানির নামে। আরওসি থেকে অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে। অফিস দেখানো হয়েছে বড়বাজারে। এরপর জাল ইনভয়েস জমা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরফলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সরকারের। সমস্ত তথ্য হাতে আসার পর তাদের অফিসে হানা দেন ডিজিজিএসটিআইয়ের অফিসাররা। জেরায় দুই অভিযুক্ত স্বীকার করে নেয়, তারাই এই সমস্ত ভুয়ো কোম্পানিগুলি খুলেছে। এরপরই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, তারা ১০টি ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিল। পিওন, মজদুর, চাকর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়। চাকরির লোভ বা কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্তরা তাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করে। সই নকল করে কোম্পানিগুলি খোলা হয়। অভিযুক্তরা জেরায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার কাছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে। অফিসারদের বক্তব্য, কলকাতা, বেঙ্গালুরু সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একাধিক কাগুজে কোম্পানি এই সমস্ত ভুয়ো ইনভয়েস কিনত। তা জমা দিয়েই সরকারের কাছে টাকা আদায় করত। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। দুই অভিযুক্ত এই কায়দায় ৮০ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে এর পরিমাণ ১০০ কোটি ছুঁয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটি সূত্রে খবর, এর পিছনে চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের একাংশ জড়িত রয়েছেন। তাঁরা কোম্পানির কাগজপত্র তৈরিতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের সম্বন্ধে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। অফিসাররা নিশ্চিত, চক্র গড়ে এই কারবার চালানো হচ্ছিল।