বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। পিকের সংস্থার তরফে ফোন পেয়েছিলেন নদীয়া জেলার একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান। গত লোকসভা ভোটে পুরসভাগুলিতে ফলাফল খুবই খারাপ করে তৃণমূল। পুরভোটে যাতে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তারজন্য অনেক আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সম্প্রতি হওয়া তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনেও কাজ করেছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরসভায় আসন সংরক্ষণের কাজ করে ফেলেছে। ফলে পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এবার মাঠে নেমে পুরোদমে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে টিম পিকে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার বা শাসকদলের নেতারা বলছেন, কিছু কিছু বিষয়ে স্পষ্ট পিকের লোকজন ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তাঁদের হাতে রয়েছে। আরও কিছু বিষয় জানতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছে তাঁরা। অনেক কাউন্সিলাররা ওই সংস্থার লোকজনদের দেখেছেন, কথা বলেছেন।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার অনুপম বিশ্বাস বলেন, পিকের টিম আমাদের এলাকা ঘুরে গিয়েছে। আমার সঙ্গে একটি বিষয়ে কথাও বলেছে। ওরা ওদের মতো কাজ সারছে। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষ বলেন, পিকের টিম আমাদের ওয়ার্ড থেকেও ঘুরে গিয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনের নামের তালিকাও ওরা তৈরি করছে দেখলাম। ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা নিতুরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, পিকের টিম এলাকায় এসেছিল। ওরা এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনের নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছে। কিছু ক্লাবের নম্বর, পুজো কমিটির নম্বরও ওরা এলাকা ঘুরে নিয়ে গিয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার স্বপন সাহা বলেন, পিকের টিম আমাদের ওয়ার্ডেও ঘুরে গিয়েছে। তবে আমি যেটুকু জানি, ওদের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টও জমা পড়ে গিয়েছে।
পিকের সংস্থা ‘আইপ্যাকের’ এক কর্তা বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, শাসকদলের কাজের খতিয়ান-সহ নানা বিষয় নিয়ে খোঁজখবর আগেই নেওয়া শুরু হয়েছিল। লোকসভা ভোটের বুথভিত্তিক ফলাফল বিচার করা হচ্ছে। যেখানে খারাপ ফল হয়েছে সেখানে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার গুণী মানুষজনদের সঙ্গেও আমরা একটু কথা বলতে চাই। আর আমাদের নিজস্ব কিছু কৌশল আছে, সেটা বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গত লোকসভা নির্বাচনে ১১৪৯ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বাকি সব ওয়ার্ডেই হার হয়েছিল তৃণমূলের। এর আগে ২০১৪ সালেও এমনই খারাপ ফলাফল হয়েছিল তৃণমূলের। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ১৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। ২০১৩ সালের পুর নির্বাচনে তৃণমূল ২২টি ওয়ার্ডে জেতে। ২টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে নির্দল দুই প্রার্থী। যদিও পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবছর পুরভোটে যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। শাসক বা বিরোধী দুই শিবিরকেই জয়ের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে।