বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
দলীয় সূত্রের খবর, ইয়েচুরি প্রার্থী হলে কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা সোনিয়া বা রাহুল গান্ধীর তরফে কংগ্রেসের সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে কোনও অসুবিধা নেই বলে মঙ্গলবারই খবর পেয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও একই ইঙ্গিত পেয়েছে দিল্লি থেকে। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতপার্থক্যের জেরে শেষমেশ ইয়েচুরি যদি সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে রাজ্যসভায় যাওয়ার সবুজ সঙ্কেত আদায় করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে সিপিএমের দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনও করেনি আলিমুদ্দিন। মহম্মদ সেলিম, বৃন্দা কারাতের মতো একাধিক নাম সেক্ষেত্রে সামনে আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু অংশ পঞ্চম আসনে এখনও নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার পক্ষপাতী বলে সিপিএম খবর পেয়েছে। এমনকী, তেমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে এই আসনটি বাগে আনার রাস্তা খোলা রাখার পক্ষে সওয়াল করে এই অংশটি হাইকমান্ডের কাছে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, সে কথাও সূর্যবাবুদের কানে গিয়েছে। এই অবস্থায় ইয়েচুরির নামে সিলমোহর দিলেও একই সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনিয়ে কোনও যোগাযোগ হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখতে দিল্লির একেজি ভবনকে সতর্ক করা হচ্ছে আলিমুদ্দিনের তরফে। তবে পুরভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস একটি আসনের জন্য কিছুতেই তৃণমূলের সঙ্গে রফা করবে না বলে মনে করছেন সূর্যবাবুরা।
এদিকে, এদিনের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে কথা হয় শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে জোট শিবিরের তরফে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে দলের আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের নাম। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র হিসেবে পুরবোর্ড চালানোর অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন জনস্বার্থ ও দুর্নীতি-বিরোধী মামলায় তাঁর সাফল্যের কারণেই বিকাশবাবুকেই এই পদের যোগ্য প্রার্থী বলে দলের নেতাদের অনেকেই মনে করছেন। তবে বিগত লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্রে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর বিকাশবাবু এখন পুর নির্বাচনে লড়াই করতে চাইবেন কি না, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। এব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্রদের মতো বর্ষীয়ান নেতাদেরই দায়িত্ব দেওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে।