বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
কেন এই সিদ্ধান্ত? পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, আসলে বিষয়গুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাত্রীদের সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। তার সঙ্গে রাজস্ব আদায়ে উৎসাহ দেওয়ারও একটি দিক রয়েছে। রাজ্যের এই পদক্ষেপে বহু গাড়ির মালিক উপকৃত হবেন।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, মোটর ভেহিকেলস আইনের বিভিন্ন ধারায় পুলিস বা মোটর ভেহিকেলস ইন্সপেক্টররা আইনভঙ্গকারীদের যে জরিমানা করেন, তা মেটাতে অনেকেই গড়িমসি করেন। রাজ্যের নয়া পদক্ষেপের দাওয়াইয়ে সেই রোগ থেকে মুক্তি ঘটবে বলেই আশাবাদী কর্তারা। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক, সব ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
বাণিজ্যিক গাড়ির বকেয়া সিএফ (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস)-এর জরিমানা বাবদ অতিরিক্ত ফি মকুব করে ইতিমধ্যেই বিশেষ স্কিম চালু করেছে পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু, যানবাহনের মালিকদের দাবি ছিল, যেহেতু বর্তমানে বহু মালিকেরই রোড ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে, তাই তাঁরা সিএফ সংক্রান্ত স্কিমের সুযোগ নিতে পারছিলেন না। কারণ, রোড ট্যাক্স বকেয়া থাকলে সিএফের টাকা মেটানো যায় না। পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের হিসেব বলছে, বর্তমানে রাজ্যজুড়ে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের রোড ট্যাক্স বকেয়া পড়ে রয়েছে। সার্বিক এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে এবার বকেয়া রোড ট্যাক্স মেটানোর ক্ষেত্রে জরিমানা পুরোপুরি মকুবের স্কিম চালু করা হয়েছে। এই স্কিম অবশ্য ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক, সব ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে।
রাজ্যের এই পদক্ষেপে কী বলছে বাস, ট্যাক্সির সংগঠনগুলি? জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের এই পদক্ষেপে যানবাহনের মালিকদের যে খুবই সুবিধা হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুরা বলেন, সিএফের স্কিমের সঙ্গে রোড ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও অনুরূপ একটি স্কিম ঘোষণার দাবি করা হয়েছিল। রাজ্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত। এতে বহু মালিক রোড ট্যাক্স ও সিএফ করাবেন। এআইটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু, পুলিসের জুলুম তো কমছে না। হাওড়া, কলকাতায় তা সমানে চলছে। বুধবারই পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছি।