বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যায় ৫০০ টাকার নকল নোট আসতে শুরু করেছে মালদহে। এই কারবারে জড়িতদের মধ্যে ৫০০ টাকার জাল নোটের চাহিদা বাড়ছে। এর বেশিরভাগটাই যাচ্ছে মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভারতে। জাল নোটের ব্যবসায় জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করে এই তথ্য হাতে এসেছে পুলিসের। কয়েকদিন আগে এসটিএফের অফিসারদের কাছে খবর আসে, মহারাষ্ট্র থেকে তিনজন মালদহে গিয়েছে জাল নোট আনতে। কলকাতা ছুঁয়ে তারা ফিরে যাবে নিজেদের রাজ্যে। সেই মতো তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হয়। জানা যায়, মহম্মদ শাহিদ, মহম্মদ সালিম শেখ ও আজম শেখ নামে তিনজন মালদহে এসেছে। সেখানকার এক কারবারির কাছ থেকে নকল টাকা নিয়েছে। বাসে করে এসে তারা কলকাকায় নামবে। এখান থেকে ট্রেনে করে মহারাষ্ট্রে রওনা দেবে। মালদহ থেকে যে বাসে তারা ওঠে, তার নম্বর জোগাড় করা হয়। পুলিসকে বোকা বানাতে তিনজনেই মেয়ো রোডে নেমে যায়। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন এসটিএফের অফিসাররা। যা বুঝতে পারেনি অভিযুক্তরা। সন্দেহের বশেই তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পাঁচ লক্ষ টাকার জাল নোট। এরপর তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনজনেরই বাড়ি বিহারে। কিন্তু বর্তমানে মহারাষ্ট্রে থাকে। এখানে জাল নোটের বড়সড় কারবার চালাচ্ছে। গোটা ব্যবসা তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের মাধ্যমে নকল নোট মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এজেন্ট নিয়োগ না করায় এই তিনজনের বিষয়ে পুলিসের কাছে পুরো তথ্য আসেনি। বিহারে থাকাকালীনই তারা নকল নোটের কারবারে জড়িয়ে পড়ে। পুলিসি ধারপাকড়ের কারণে ডেরা বদল করে থাকতে শুরু করে মহারাষ্ট্রে। বিহার জাল নোটের কারবার চালানোর সময়ই তাদের সঙ্গে মালদহের একাধিক জাল নোট কারবারির পরিচয় হয় এবং সরাসরি যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সেই কারণে তারা সহজে জাল নোট পেয়ে যাচ্ছে। এর আগেও তারা একাধিকবার এরাজ্যে এসে জাল নোট নিয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়েছে। তাদের জেরা করে মহারাষ্ট্রে এই কারবারে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম হাতে এসেছে এসটিএফের অফিসারদের। যাদের মধ্যে এরাজ্যেরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।